ইউরোপে জেনারেটিভ এআই সহকারী চালু করছে মেটা

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সহকারী পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে মেটা, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি। গতকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা চলতি সপ্তাহেই ইউরোপের ৪১টি দেশে তাদের মেটা এআই সহকারী চালু করতে যাচ্ছে।
মেটার এআই সহকারী
এক বিবৃতিতে মেটা জানিয়েছে, “আমরা আমাদের এআই প্রযুক্তি ইউরোপের মানুষের হাতে তুলে দিতে যতটা সময় চেয়েছিলাম, তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। কারণ, আমরা এর জটিল নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাটি নেভিগেট করে চলেছি। তবে আমরা আনন্দিত যে অবশেষে আমরা এটি এখানে নিয়ে এসেছি।”
পূর্ববর্তী কার্যক্রম
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মেটা এআই সহকারী পরিষেবা চালু করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে মেটার সব অ্যাপ্লিকেশনে এআই যুক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মেটা এআই পরিষেবায় ইমেজ জেনারেশনের (কৃত্রিম ছবি বানানো) সুবিধা থাকলেও ইউরোপে এটি শুধুমাত্র টেক্সট (লেখা আকারে) সেবা দেবে। ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তরে মেটা ওয়েব অনুসন্ধানও ব্যবহার করতে পারে।
এআই সহকারীর সুবিধা
মেটার এআই বট কনভার্সেশনের মাধ্যমে আগ্রহের বিষয়ে গভীর তথ্য অনুসন্ধান, ভ্রমণ পরিকল্পনা অথবা কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই সম্পর্কে সহযোগিতা করবে। মেটা বর্তমানে ইউরোপীয় ৪১টি দেশ ও সেখানকার ছয়টি ভাষায় অপারেট করছে।
বিনিয়োগ পরিকল্পনা
কোম্পানিটি এই বছর এআই মডেল তৈরি করতে ৬০-৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার বেশির ভাগ অর্থ ডেটা সেন্টার, সার্ভার ও নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে ব্যয় হবে।
সিইওর মন্তব্য
মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানুয়ারিতে কোম্পানিটির ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণী ঘোষণার সময় বলেছেন, “এটি একটি বিশাল প্রচেষ্টা এবং আগামী বছরগুলোতে এটি আমাদের মূল পণ্য ও ব্যবসাকে এগিয়ে নেবে। এটি ঐতিহাসিক উদ্ভাবন উন্মোচন করবে এবং আমেরিকার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকে প্রসারিত করবে।”
বর্তমানে মেটা এআই সহকারীর প্রায় ৭০ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে বলে দাবি করছে মেটা। তবে, এটি ১০০ কোটি না হওয়ায় কিছুটা লাজুক জাকারবার্গ। তিনি বলেছেন, একটি “টেকসই দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা” সুরক্ষিত করার জন্য এটি প্রয়োজন ছিল।
মেটার এই উদ্যোগ ইউরোপে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সহকারী পরিষেবা চালু হওয়ায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে।