জাতীয়

ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে তার সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এই সফরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফরের প্রস্তুতি ও আলোচনার অগ্রগতি

ইসহাক দারের সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী ঢাকায় এসেছেন। বুধবার (৫ মার্চ) তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এসময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি হস্তান্তর করেন ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী।

এর পাশাপাশি, পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব আতাউর রহমান এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনির সঙ্গেও বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নয়ন

পাকিস্তানের কোনো উচ্চপর্যায়ের নেতা সর্বশেষ ২০১২ সালে ঢাকা সফর করেছিলেন। সে সময় পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এরপর ২০২২ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভার্চুয়ালি ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেন।

এদিকে, ২০২৩ সালের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের মধ্যে দুইবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা ফোনেও কথা বলেছেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে একমত হয়েছেন।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক দিক

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল ও ফ্লাইট পুনরায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসহাক দারের এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং সাংস্কৃতিক ও পর্যটন খাতকে আরও বিকশিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি

বাংলাদেশ বরাবরই অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সফর উভয় দেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে কূটনৈতিক সংলাপে অতীত ইতিহাস ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে সফরের তারিখ ও আনুষ্ঠানিকতা শিগগিরই নির্ধারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button