অর্থনীতি

বাজারে খেজুরের দাম কমছে, কেনার উপযুক্ত সময়!

পবিত্র রমজান আসন্ন, এবং এই সময় খেজুরের চাহিদা বাড়ে। গত বছর খেজুরের দাম বেড়ে যাওয়ার পর, এবার সরকার খেজুরের আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর ফলে দাম কিছুটা কমেছে।

আমদানি ও দাম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টন খেজুর আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ১৯ হাজার ৬৮৮ টনের তুলনায় অনেক বেশি। ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, রোজায় খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন।

শুল্ক ও করের পরিবর্তন

গত নভেম্বরে সরকার খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনে এবং অগ্রিম কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করে। এই সুবিধা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

বাজারের পরিস্থিতি

বাজারে ১৫ থেকে ২০ রকমের খেজুর পাওয়া যাচ্ছে এবং দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা কমেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইরাকের ‘জাহিদি’ খেজুরের দাম গত বছর রোজায় ২৩০ টাকা ছিল, যা এবার ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের মেডজুল খেজুরের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৩২০ টাকায় এসেছে।

ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া

চট্টগ্রামের খেজুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আল্লাহর রহমত স্টোরের কর্ণধার মো. কামাল জানান, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর কারণে এ বছর আমদানি বেড়েছে এবং বাজারে সরবরাহ ঘাটতি নেই।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

যদিও দাম কিছুটা কমেছে, তবে আমদানিকারকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় এখনও শুল্কায়ন মূল্য বেশি। শুল্কায়ন মূল্য কমানো হলে প্রতি কেজিতে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারের উদ্যোগের ফলে খেজুরের আমদানি বেড়েছে এবং দাম কিছুটা কমেছে, যা ভোক্তাদের জন্য ইতিবাচক। তবে, শুল্কায়ন মূল্য পুনর্নির্ধারণের মাধ্যমে আরও দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে, যা রমজানের আগে ভোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button