আজ শেয়ারবাজারের সাত কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তন

ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সাতটি কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি উন্নতি করে জেড ও বি শ্রেণি থেকে এ শ্রেণিতে উঠে এসেছে, এবং বাকি চারটি কোম্পানি বি ও এ শ্রেণি থেকে জেড শ্রেণিতে নেমে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শ্রেণি পরিবর্তনের বিস্তারিত
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, নিম্নলিখিত কোম্পানিগুলোর শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে:
- জেড শ্রেণিতে নেমেছে:
- জেনেক্সিল (বি থেকে জেড)
- সাইফপাওয়ার (বি থেকে জেড)
- আরামিট (এ থেকে জেড)
- শেফার্ড (বি থেকে জেড)
- এআইএল (এ থেকে জেড)
- এ শ্রেণিতে উঠেছে:
- বিচাটেক (বি থেকে এ)
- ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স (জেড থেকে এ)
শ্রেণি পরিবর্তনের কারণ
সাধারণত যেসব কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সেসব কোম্পানিকে জেড শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, যারা ঘোষিত লভ্যাংশ বণ্টন করেছে, তাদের এ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে এবং আর্থিক বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হবে।
যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে, কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেবে, তাদের বি শ্রেণিতে রাখা হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এন শ্রেণি এবং গ্রিনফিল্ড কোম্পানি, অর্থাৎ যেসব কোম্পানি উৎপাদনে আসার আগে তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলোকে জি শ্রেণিভুক্ত করা হবে। আর যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে না, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, এবং টানা ছয় মাসের বেশি যাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে, সেসব কোম্পানি হবে জেড শ্রেণিভুক্ত।
বাজারের প্রতিক্রিয়া
বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য এই শ্রেণিবিভাজন তৈরির পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করেছে। প্রথমত, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ কোম্পানি বাছাইয়ে সহায়তা করা। দ্বিতীয়ত, শেয়ারের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনায় ঋণ না দেওয়ার জন্য ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেছে।
শেয়ারবাজারের এই শ্রেণি পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এটি তাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এবং বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আশা করা যায়, এই পরিবর্তনগুলো দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে।