বাংলাদেশ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যামামলা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যামামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রায় ঘোষণার বিস্তারিত

রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

মামলার পটভূমি

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যামামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদাধিকারী সদস্য রয়েছেন।

আবরার ফাহাদের পরিবার ও আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া

রায় ঘোষণার পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, “হাইকোর্টের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।” আবরারের ভাই ফাইয়াজ জানান, “এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যদিও এখনও অনেকগুলো প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে।”

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে আবরার ফাহাদের পরিবার এবং জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।”

আসামিপক্ষের আইনজীবীর মন্তব্য

আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে যাব।”

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।

আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের রায় দেশের শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই রায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button