শততম ম্যাচেও ইনজুরির শিকার নেইমার, কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়লেন

নেইমার জুনিয়র এবং ইনজুরি—এ যেন এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, প্রতিভার চেয়েও বেশি আলোচিত তার বারবার চোটে পড়া। আর এবারও ব্যতিক্রম হলো না। নিজের প্রিয় ক্লাব সান্তোসের হয়ে শততম ম্যাচে নেমে আবারও ইনজুরির কবলে পড়লেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।
সান্তোসের ঐতিহাসিক মাঠ ভিলা বেলমিরোতে শততম ম্যাচে নামার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্য যেন আবারও মুখ ফিরিয়ে নিল। ম্যাচের মাত্র ৩৪ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন নেইমার, আর সেই সময়টা ছিল চোখের জলে ভেজা। ইনজুরির ধাক্কায় ম্যাচ শেষ করা তো দূরের কথা, বেঞ্চে যাওয়ার পুরো পথটাও পাড়ি দিতে হয়েছে কার্টে করে, চোখের পানি ফেলতে ফেলতে।
৫ দিন আগে ফিরলেন, আবারও চোট
প্রায় দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকার পর মাত্র ৫ দিন আগে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। প্রত্যাবর্তনের আনন্দ বেশিদিন টিকল না। দ্বিতীয় ম্যাচেই আবারও ছিটকে পড়লেন মাঠ থেকে। ইনজুরি এতটাই ভয়ংকর যে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হবার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
চোটের ধরণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, বাম পায়ের ঊরুর মাংসপেশির পুরনো চোট আবার ফিরে এসেছে। এই একই ইনজুরির কারণে আগেও দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমারকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি আদৌ আর পূর্ণ মৌসুম খেলতে পারবেন কি না?
নেইমারের কান্না, দর্শকদের আক্ষেপ
নেইমার যখন কান্নায় ভেঙে পড়েন, তখন স্টেডিয়ামে থাকা হাজারো দর্শকের আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নেয় গভীর বিষাদে। সান্তোস ২-০ গোলে জিতলেও, নেইমারের ইনজুরি যেন জয়কেও গিলিয়ে দিয়েছে বিষাদের রঙে।
৩৩ বছর বয়সী নেইমার হয়তো নিজেও ক্লান্ত—চোটের ধকল, পুনর্বাসন, প্রত্যাবর্তন আর ফের চোটের চক্রে আটকে থাকতে থাকতে। সতীর্থদের সান্ত্বনাও পারেনি থামাতে তার কান্না।
সান্তোস বলছে, ‘আমরা তোমার পাশে আছি’
এই কঠিন সময়ে ক্লাব সান্তোস নেইমারের পাশে আছে—এটি জানিয়ে দিয়েছে তারা। ক্লাবটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়,
“প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।”
সান্তোসের কাছেই বেড়ে ওঠা নেইমার এখন আবার এই ক্লাবেই ফিরে এসেছেন নতুন করে ক্যারিয়ার গড়ার আশায়। কিন্তু বারবারের ইনজুরি যেন তার পথ রুদ্ধ করে রাখছে।
শেষ কবে ছিল সুস্থ মৌসুম?
নেইমার শেষ কবে একটি পূর্ণ মৌসুম খেলেছেন, সেটি খুঁজে বের করাই যেন গবেষণার বিষয়।
- সর্বশেষ তিনি একটি মৌসুমে অন্তত ৩৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৬–১৭ মৌসুমে, তখন তিনি বার্সেলোনার জার্সিতে খেলতেন।
- এরপর থেকে প্রতিটি মৌসুমেই ইনজুরি বা শারীরিক সমস্যার কারণে ভুগেছেন, মিস করেছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।