দেশজুড়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল বুধবার রাতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনকারীরা তাদের আট দফা দাবি নিয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি:
১. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার না করা:
শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি স্নাতক প্রকৌশলীদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা।
২. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি না দেওয়া:
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নবম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হলে স্নাতক প্রকৌশলীদের চাকরির সুযোগ কমে যাবে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।
৩. দশম গ্রেডের চাকরিতে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া:
দশম গ্রেডের চাকরিতে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া হলে তাদের কর্মজীবনের উন্নতি সম্ভব হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ক্ষমা প্রার্থনা:
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
৫. প্রকৌশল আন্দোলনের কমিটি সংস্কার করা:
আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতিপূর্বে গঠিত কমিটিকে অনুপযুক্ততার কারণে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জানিয়েছেন।
৬. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করা:
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, হামলার প্রতিবাদে ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
৭. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে:
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে বহিষ্কার করা:
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান:
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, দুপুরে সার্বিক বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধে নামেননি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একত্রিত হননি।
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ:
আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করেছেন, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়া হোক।
MAH – 12528 , Signalbd.com