ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব ‘হাস্যকর’, বলল উত্তর কোরিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল করার এবং ফিলিস্তিনিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ বলে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) প্রতিবেদনে সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেছে, “নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের মনে যে ক্ষীণ আশা ছিল, তা এই প্রস্তাবের কারণে ভেঙে যাচ্ছে।”
কেসিএনএ আরও উল্লেখ করেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের উত্তাপে বিশ্ব এখন যব সেদ্ধ করার পাত্রের মতো ফুটছে।”
ট্রাম্পের ঘোষণার প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন করতে চায়। তার এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কেসিএনএ-তে মন্তব্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অতীতের সমালোচনা
কেসিএনএ প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড দখলের আহ্বান নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া ‘মেক্সিকো উপসাগর’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের কালানুক্রমিক বিভ্রান্তি থেকে জেগে ওঠা এবং অবিলম্বে অন্য দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বন্ধ করা।” যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চাঁদাবাজ’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও কিমের সম্পর্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছিলেন। সে সময় তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছিলেন।
বর্তমানে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও কিমের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তেমন মন্তব্য করা হয়নি। বরং উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে আসছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা তাদের জন্য হুমকি তৈরি করছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
উত্তর কোরিয়া প্রায়ই আন্তর্জাতিক বিষয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার এবং গাজায় রক্তপাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। তাদের অভিযোগ, এই কাজে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য উদ্বেগজনক এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আশা করা যায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
