বিশ্ব

ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

Advertisement

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, যা সমাজকে নড়িয়ে দিয়েছে। চার বছরের একটি নিরীহ শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়নি, বরং ভারতের শিশু সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। শিশুটি বানজারা সম্প্রদায়ের, যারা প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ জীবন যাপন করে। তারকেশ্বরের রেলওয়ে শেডে দাদির সাথে ঘুমাচ্ছিল সে। অপহরণকারী মশারি কেটে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় পুলিশ শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইনের (পকসো) অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।

এই ঘটনাটি ভারতের শিশু ধর্ষণের পরিসংখ্যানকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল প্রায় ৫১,০০০, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে অনেক ঘটনা গ্রামীণ এলাকায় ঘটে, যেখানে সুরক্ষার অভাব রয়েছে। হুগলি জেলা এমনিতেই শিশু অপরাধের জন্য পরিচিত, এবং এই ঘটনাটি সেখানকার সমাজকে আরও সতর্ক করে তুলেছে।

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা: কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ অপরাধ?

রোববারের এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে যে, ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের রেলওয়ে শেডে। শিশুটি তার দাদির সাথে খাটে মশারির নিচে ঘুমাচ্ছিল। পরিবারের দাবি অনুসারে, অপহরণকারী ভোর ৪টার দিকে মশারি কেটে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়। দাদি ঘুমিয়ে ছিলেন, তাই তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। পরের দিন বিকেলে, তারকেশ্বর রেলওয়ে হাই ড্রেনের কাছে রক্তাক্ত ও উলঙ্গ অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

শিশুটির দাদি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “সে আমার সাথে ঘুমাচ্ছিল। ভোর ৪টার দিকে কেউ তাকে তুলে নিয়ে গেছে মনে হয়। কখন তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা আমি বুঝতেও পারিনি। আমি জানি না কারা তাকে নিয়ে গেছে। তারা মশারি কেটে নিয়ে গেছে। পরে তাকে পাওয়া গেছে উলঙ্গ অবস্থায়।” এই কথাগুলো শুনে যে কারও হৃদয় ভেঙে যায়। দাদি আরও বলেন, “আমরা রাস্তায় থাকি কারণ তারা (প্রশাসন) আমাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আমরা কোথায় যাব? আমাদের কোনো বাড়ি নেই।”

বানজারা সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রায়ই এমন অবস্থায় থাকে। তারা ভ্রাম্যমাণ জীবন যাপন করে, রেলওয়ে শেড বা রাস্তার ধারে থাকে। এই সম্প্রদায়ের লোকজন প্রায়ই সরকারি ভূমিতে বসবাস করে, কিন্তু প্রশাসন তাদের উচ্ছেদ করে। এই ঘটনাটি তাদের জীবনের অনিশ্চয়তাকে আরও প্রকাশ করে।

MAH – 13688 I Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button