বিশ্ব

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত হলেন কেন মার্টিন

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটরা গত শনিবার ৫১ বছর বয়সী প্রগতিশীল কর্মী কেন মার্টিনকে তাঁদের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। নতুন এ নেতার দায়িত্ব হবে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারানোর পর ভেঙে পড়া দলকে পুনর্গঠন করা এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নির্ধারণ করা। কেন মার্টিনকে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

কেন মার্টিনের বক্তব্য

এক বিবৃতিতে কেন মার্টিন বলেন, “ডেমোক্রেটিক পার্টি হলো কর্মজীবী মানুষের দল। এখন আমাদের হাত গুটিয়ে নেওয়ার নয়, বরং সর্বত্র প্রতিযোগিতা করার, প্রতিটি নির্বাচনে এবং সরকারের প্রতিটি স্তরে জয়ী হওয়ার সময়।”

ডিএনসি মূলত ডেমোক্রেটিক পার্টির মূল পরিচালনা পর্ষদ। এই পর্ষদ প্রতিবছর সারা দেশে প্রার্থীদের সহায়তা এবং সাংগঠনিক কাঠামো নির্মাণের জন্য লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে। চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে এই তহবিল চূড়ান্ত হয়।

পরিচিতি ও পরিকল্পনা

কেন মার্টিন দলের বাইরে খুব বেশি পরিচিত নন। তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মিনেসোটা শাখার সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ডেমোক্র্যাটদের এখন কর্মজীবী ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক করার প্রয়োজন এবং ইলেকটোরাল ভোটের লড়াই ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। রক্ষণশীল ঘাঁটিগুলোতেও এ লড়াই চালাতে হবে।”

কেন মার্টিন বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ধনকুবের বন্ধুদের তাড়ানোর ওপর রাখতে হবে। শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে লুটপাটের জন্য আমরা তাদের জবাবদিহির আওতায় আনব এবং ব্যালট বাক্সে আমরা তাদের পরাজিত করব।”

নির্বাচনে পরাজয় ও দলের বৈঠক

গত নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে হারের পর্যালোচনা করতে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেন ডিএনসির নেতারা। তাঁরা এ বৈঠকে দলের মিনেসোটা শাখার সাবেক চেয়ারম্যান কেন মার্টিনকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।

নর্থ ক্যারোলাইনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডেপুটি ডিজিটাল পরিচালক ক্যাথরিন জিন্স বলেন, “এটি দাবা খেলা নয় যে সবাই তাদের ঘুঁটিগুলোকে সম্মানজনকভাবে, সময়োপযোগীভাবে চাল দেবে। এটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রের গেরিলাযুদ্ধ।”

সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন

ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর বলেন, “আগামী নির্বাচনের আগপর্যন্ত দলের লুকিয়ে থাকা উচিত হবে না।” দলের ওয়াশিংটন শাখার চেয়ারম্যান শাসতি কনরাড বলেন, “এখন সাহস দেখানোর সময়। অনেক নাগরিক তাঁদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারব, এমন আস্থা তাঁরা রাখেন না। আমাদের যখন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, আমরা তার সঠিক ব্যবহার করেছি বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। এখন তাই লড়াই শুরু করার সময়। ২০২৮ সালের নির্বাচনের আগপর্যন্ত অপেক্ষা করার মানে হয় না।

কেন মার্টিনের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট পার্টি নতুন করে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা যে নতুন কৌশল গ্রহণ করছে, তা আগামী নির্বাচনে তাদের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। দলটি এখন কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং নির্বাচনী লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button