বিশ্ব

মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ: কৌশলস্তরীয় অংশীদার্তৃত্ব এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি

মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ: কৌশলস্তরীয় অংশীদার্তৃত্ব এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন। দুই দেশের এই শীর্ষ নেতা তাঁদের কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই আলোচনাটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হলো।

কৌশলগত সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব

হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী, দুই নেতা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং ন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মোদির হোয়াইট হাউস সফর পরিকল্পনা

এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির আসন্ন হোয়াইট হাউস সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কোয়াড অংশীদারত্বের অগ্রগতি নিয়ে তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এ বছরের শেষ দিকে প্রথমবারের মতো কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত।

মোদির উচ্ছ্বাস

টেলিফোন আলোচনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই।” মোদি আরও বলেন, “আমরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও বিশ্বস্ত অংশীদারত্বের বিষয় নিয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।”

অতীত সম্পর্ক

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ (২০১৭-২০২১) চলাকালে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। সেই সময় বিভিন্ন কৌশলগত ও বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দেখা গিয়েছিল। এই ফোনালাপের মধ্য দিয়ে দুই নেতার মধ্যে পুনরায় সরাসরি সংলাপ শুরু হলো।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের এই সহযোগিতা কেবল দুই দেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র এশিয়া ও বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই অংশীদারত্ব আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

কোয়াড জোটের গুরুত্ব

ভারতের নেতৃত্বে কোয়াড জোটে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া অন্তর্ভুক্ত। এই জোটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন এই সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মোদি ও ট্রাম্পের এই আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় হলো। দুই দেশের এই সহযোগিতা আগামী দিনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Advertisement
Back to top button