প্রযুক্তি

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো শিশু-কিশোরদের কিডস স্পেস ক্যাম্প

Advertisement

মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তুলতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘কিডস স্পেস ক্যাম্প’। এই ক্যাম্পটি স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কিডস স্পেস ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত।

ক্যাম্পের আয়োজন

দিনব্যাপী এই স্পেস ক্যাম্পটি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-তে অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশ থেকে ৮৫টি স্কুলের শিশু-কিশোররা এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে। ক্যাম্পে মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবটিক্স, রকেট সায়েন্স এবং অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের জন্য একটি অনন্য শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তৈরি করা হয়।

আয়োজকদের বক্তব্য

এআইইউবির ফাউন্ডার মেম্বার ও ভাইস চেয়ারম্যান ড. হাসানুল এ হাসান বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের দেশে এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমাদের শিশু-কিশোররা আজকের এই কর্মশালায় যে ধরনের কার্যক্রম করেছে, তা তাদের সৃজনশীলতা ও কৌতূহল আরো বাড়িয়ে তুলবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মহাকাশ গবেষকদের তৈরি করতে সাহায্য করবে।”

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ইকোনমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার বলেন, “স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারছে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের বিজ্ঞানী, গবেষক, এবং নভোচারী। তারা এখানে নতুন কিছু শেখার, আবিষ্কারের এবং নিজেদের কল্পনাশক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।”

কার্যক্রমের বিবরণ

এই আয়োজনে অভিজ্ঞ মিশন কন্ট্রোলারদের সহযোগিতায় শিশুরা শিখেছে মডেল রকেট তৈরি ও উৎক্ষেপণ। এছাড়াও, তারা স্পেস রোবট তৈরি ও প্রোগ্রামিং, টেলিস্কোপ তৈরি ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছে। মঙ্গল ও চাঁদের জন্য কলনি ডিজাইন তৈরি করা হয় এই আয়োজনে। ক্যাম্পে ভিআর বেইসড অ্যাস্ট্রোনট প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা ছিল, যা শিশু-কিশোরদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা।

কিডস স্পেস ক্যাম্পের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন ধারণা লাভ করেছে এবং তাদের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তৈরি করতে সহায়তা করবে। আশা করা যায়, এই ক্যাম্পের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button