বিশ্ব

গাজায় একদিনে নিহত ৭২, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৬০ হাজার ৩০০

Advertisement

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে গাজার উপত্যকায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬০ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই সংবাদটি আমাদের মানবিক সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আসুন, আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে জানি।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের হামলার পর গাজার মোট নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ৩৩০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯ জন ফিলিস্তিনি। এই সংখ্যা কেবল তাদের, যারা হাসপাতালে পৌঁছাতে পেরেছেন। ধ্বংসস্তূপের তলায় এবং সড়কে অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে, যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি।

খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয়

গাজার পরিস্থিতি শুধু প্রাণহানির দিকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং খাদ্য সংকটও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েল গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশ সীমিত করেছে, যার ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় না খেতে পেয়ে এবং অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের, যাদের মধ্যে ৯৮ জন শিশু।

ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা

গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে যখন ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ত্রাণ নিতে গিয়ে গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৭৭২ জন, তাদের মধ্যে ১৬ জন শুক্রবার নিহত হয়েছেন।

হামাসের হামলা ও ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়, যার ফলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। হামাসের এই হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজার সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একদিকে প্রাণহানি, অন্যদিকে খাদ্য সংকট এবং মানবিক বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই সংকটের সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। গাজার মানুষের জীবন রক্ষার জন্য আমাদের সকলের উচিত সোচ্চার হওয়া এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।

MAH – 12206 ,  Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button