নাসিরনগরে শসা চুরি নিয়ে সংঘর্ষ: আহত শতাধিক

সংঘর্ষের পটভূমি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শ্রীঘর গ্রামে শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে নারী ও শিশু সহ অন্তত শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ১০ জুন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষের কারণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীঘর গ্রামের সরকারবাড়ির জুয়েল মিয়া নিজের বাড়ির পাশে শসা চাষ করেছেন। গত কয়েক দিন ধরে তার শসা রাতের বেলায় চুরি হচ্ছে। জুয়েল মিয়ার লোকজনের অভিযোগ, একই গ্রামের বড় হাটির লোকজন এই চুরির সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বিচার-সালিশের আয়োজন করা হয়, কিন্তু বড় হাটির লোকজন বিচার-সালিশে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
আজ সকালে বড় হাটির লোকজন সরকারবাড়ির গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের অবস্থা
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে মাসুক মিয়া, আমিন মিয়া, লদন মিয়া, সারোয়ার, জান আলম, রজব আলী, সাকিব, ফুল জাহান, কাদির, এমরান, ছাদেক, বিং রাজ বেগম, হাসান, ছালেক, হাফিজ, নজরুল, ইমন, আজাদ, আজিজসহ ৮১ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশি ব্যবস্থা
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
সংঘর্ষের প্রভাব
এই সংঘর্ষের ফলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
উপসংহার
শসা চুরির মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা আমাদের সমাজে সহিংসতার একটি উদাহরণ। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।