ফুটবল

ইংল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলে ডাক পেলেন জেড স্পেন্স

Advertisement

ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন জেড স্পেন্স। তিনি টটেনহ্যাম হটস্পারের ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর অ্যান্ডোরার বিপক্ষে এবং ১০ সেপ্টেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোর জন্য ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ক্যারিয়ারের শুরু

জেড স্পেন্সের জন্ম লন্ডনে, ইংল্যান্ডে। তার মা কেনিয়ান এবং বাবা জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত। তিনি ফুলহ্যাম একাডেমি থেকে ফুটবলের হাতেখড়ি নেন এবং পরে মিডলসব্রুতে যোগ দেন। ২০১৮ সালে মিডলসব্রুর হয়ে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়। তবে দলে স্থায়ী জায়গা পেতে তিনি সংগ্রাম করেন।

লোনে খেলা ও উন্নতি

মিডলসব্রুতে স্থায়ী জায়গা না পেয়ে, স্পেন্স রেনেস, লিডস ইউনাইটেড এবং জেনোয়া ক্লাবে লোনে খেলেন। এই সময়গুলোতে তিনি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বিশেষ করে নটিংহ্যাম ফরেস্টে তার পারফরম্যান্স তাকে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে ডাক পেতে সহায়তা করে।

টটেনহ্যামে যোগদান ও চ্যালেঞ্জ

২০২২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেন স্পেন্স। তবে কোচ আন্তোনিও কন্তে তাকে শুধুমাত্র “ক্লাবের বিনিয়োগ” হিসেবে উল্লেখ করেন, যা তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। তবে তিনি হাল না ছেড়ে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং কোচ অঞ্জে পোস্টেকোগলুর অধীনে ইউরোপা লিগে শিরোপা জয় করেন।

বর্তমান পারফরম্যান্স ও ইংল্যান্ড দলে ডাক

বর্তমানে কোচ থমাস ফ্রাঙ্কের অধীনে স্পেন্স তার পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। বিশেষ করে ইউরোপা সুপার কাপ এবং ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে তার খেলা প্রশংসিত হয়েছে। এই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাকে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক দেওয়া হয়।

মুসলিম হিসেবে প্রথম

স্পেন্স মুসলিম ধর্মাবলম্বী। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে ডাক পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত গর্বিত। তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য একটি আশীর্বাদ। আমি আশা করি, আমার এই অর্জন মুসলিম তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।”

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

স্পেন্সের লক্ষ্য ইংল্যান্ডের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা। তিনি তার খেলা আরও উন্নত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক মনোভাব এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

জেড স্পেন্সের ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি ইংল্যান্ডের ফুটবলে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির প্রতীক। তার এই সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

MAH – 12646,  Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button