আঞ্চলিক

ছোট্ট রদিয়ার লাল টুকটুকে জামা পরা ছবিটি এখন শুধুই স্মৃতি

জয়পুরহাটের কালাইয়ে চার বছরের শিশু রদিয়া আক্তার রুহির নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

নিখোঁজের পরবর্তী ঘটনা

গত ২৪ মে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রদিয়া তার দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরদিন, ২৫ মে, রদিয়ার মা আরজিনা খাতুন কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মরদেহ উদ্ধার:

৩০ মে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিমাইল গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে রদিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি:

পুলিশ এই ঘটনায় রদিয়ার সৎমা সোনিয়া আক্তার, চাচা রনি এবং সৎনানা জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা রদিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেন।

হত্যার কারণ:

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, সৎমা সোনিয়া আক্তার দীর্ঘদিন ধরে রদিয়ার প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ করতেন।

মায়ের প্রতিক্রিয়া:

রদিয়ার মা আরজিনা খাতুন বলেন, “ওরা আমার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”

পুলিশের বক্তব্য:

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, “নিখোঁজ শিশুটিকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছে।”

সামাজিক প্রতিক্রিয়া:

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

চার বছরের শিশু রদিয়া আক্তার রুহির হত্যাকাণ্ড আমাদের সমাজে পারিবারিক সহিংসতা ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা জরুরি।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button