আঞ্চলিক

মিষ্টিকুমড়ার চাষে কৃষকের মুখে হাসি, গোমতীর চরে সাফল্যের গল্প

গোমতী নদীর চরে এ বছর মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে, যা কৃষকদের মুখে হাসি এনেছে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভান্তির চরে সবুজের মধ্যে মিষ্টিকুমড়া হাসছে। কৃষকরা খুশি, কারণ তারা ভালো ফলন পেয়েছেন।

চাষের পদ্ধতি

ভান্তির চরের কৃষকরা গত নভেম্বরের শুরুতে একসঙ্গে আলু ও মিষ্টিকুমড়ার চারা রোপণ করেন। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এবং জানুয়ারির শুরুতে আলু তুলে নেওয়ার পর এখন প্রতিটি জমিতে শুধুই মিষ্টিকুমড়া। এই বছর মিষ্টিকুমড়ার ভালো ফলনের কারণে কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক লেগেছে।

বন্যার প্রভাব

গত বছরের আগস্টে হওয়া ভয়াবহ বন্যায় গোমতী নদীর চর প্লাবিত হয়েছিল, যার ফলে কৃষিজমির ফসল ভেসে যায়। তবে বন্যার সময় চরের কৃষিজমিগুলোতে প্রচুর পলি জমেছিল, যা মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলনে সহায়তা করেছে।

বিক্রির প্রক্রিয়া

ভান্তির চরে কৃষকরা মিষ্টিকুমড়া তুলে খেতের আলে রাখছেন এবং সেখান থেকে গোমতীর বেড়িবাঁধ সড়কে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা চরে এসে মিষ্টিকুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষকদের অভিজ্ঞতা

কৃষক মো. মানিক জানান, তিনি ২৬ শতাংশ জমিতে আলু ও মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন, ৪০-৫০ হাজার টাকার মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। অন্য কৃষক মোস্তফা মিয়া বলেন, “গোমতী চরের এই মিষ্টিকুমড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।”

কৃষি বিভাগের মন্তব্য

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, “আবহাওয়া ভালো এবং বন্যায় চরের কৃষিজমিতে পলি জমার কারণে এ বছর গোমতীর চরে মিষ্টিকুমড়া ও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।”

গোমতী নদীর চরে মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন কৃষকদের জন্য একটি আশার আলো। এই ফলন তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করবে এবং কৃষি খাতের উন্নয়নে সহায়তা করবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button