আঞ্চলিক

হযরত মুহম্মদ (সঃ) মানবতার মুক্তির দিশারি: তারেক রহমান

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, হযরত মুহম্মদ (সঃ) মানবজাতির মুক্তির দিশারি। তিনি বলেন, মহানবীর আগমনে মানবজাতি কল্যাণ, শান্তি এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ পেয়েছে। এই উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশের সহ বিশ্বের মুসলিম ভাই ও বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মহিমান্বিত আগমন ও মানবতার কল্যাণ

তারেক রহমান বলেন, হযরত মুহম্মদ (সঃ) পৃথিবীতে আগমনের মাধ্যমে মানবজাতিকে অন্ধকার যুগ থেকে আলোকিত করেছেন। মানুষের জীবনে শান্তি, কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কুসংস্কার, নিপীড়ন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই কারণে তিনি মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে পরিচিত।

মহানবী (সঃ) তার জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে মানবজাতিকে পরিশোধন করেছেন। তার শিক্ষা ও কুরআনের নির্দেশনা মানুষকে সত্য, ন্যায়বিচার এবং ইনসাফের পথে পরিচালিত করে। তার আগমনের দিনটি মর্যাদাবান এবং তা মানবজাতির জন্য একটি আলোকিত দিশার মত।

সমাজে শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা

তারেক রহমান আরও বলেন, মহানবী (সঃ) সমাজে অন্ধকার, নির্যাতন ও অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ইসলামের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মহানবীর আদর্শ শিশুদের প্রতি দায়িত্ব, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, দয়া, ক্ষমা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পরমতসহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয়। এই নীতি আজও মানবতার জন্য দিকনির্দেশক।

ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য

তারেক রহমান বলেন, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয় মহানবী (সঃ) এর আগমন ও জীবনের শিক্ষা থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে। এই দিনে মুসলমানরা তার জীবন, ত্যাগ ও আদর্শকে স্মরণ করে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় উপহার। মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তি এই দিনে উপলব্ধি করতে পারে।

মানবতার মুক্তির দিশারীর শিক্ষা

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, হযরত মুহম্মদ (সঃ) মানবজাতিকে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দিশা দেখিয়েছেন। জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূর করে ইসলামের মাধ্যমে সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বলেন, মহানবীর আদর্শ আমাদের শেখায় কিভাবে সমাজে অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের সেবা করা, মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।

আদর্শ ও প্রার্থনা

তারেক রহমান প্রার্থনা করেন, মহানবী (সঃ) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগ আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হোক। তিনি সবাইকে তাদের জীবনে মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করতে আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও সালাম পাঠ করেন।

বিশ্লেষণ ও প্রভাব

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মহানবীর জীবন ও শিক্ষা শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, বরং এটি মানবিক, সামাজিক এবং নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় দিকনির্দেশক। আজকের সময়ে মহানবীর আদর্শ মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা, ন্যায়বিচার ও মানবিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সহায়ক।

সংক্ষিপ্তসার

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক রহমানের বার্তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, হযরত মুহম্মদ (সঃ) শুধু ইসলামের নায়ক নন, তিনি মানবজাতির মুক্তির দিশারী। তার জীবন ও আদর্শ মানবকল্যাণ, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় পথপ্রদর্শক। মুসলমানরা তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে সত্যিকারের মানবিক সমাজ গঠন করতে পারবে।

এম আর এম – ১১৮৭, Signalbd.com

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button