খুলনায় সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর সহযোগী কালা তুহিনসহ গ্রেফতার ৩, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর সহযোগী কালা তুহিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে সেনাবাহিনী পরিচালিত এক যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিস্তারিত
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন কালা তুহিন, হাবিব শেখ এবং কে এম মিজানুর রহমান (সুজন)। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি নাইন এম এম রিভলভার, ৪ রাউন্ড বুলেট, ১টি দেশীয় অস্ত্র, ১৭টি বিদেশি মদের বোতল, ২ কেজি গান পাউডার, ১২টি মোবাইল সেট, বেশ কয়েকটি সিম কার্ড এবং নগদ অর্থ।
কালা তুহিনের পরিচিতি
কালা তুহিন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বড় দক্ষিণপাড় গ্রামের মৃত আ. সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে তিনি খুলনা নগরীর শেখপাড়ার গোলআলা মুন্সীর বাগান বাড়িতে বসবাস করছেন। অন্যদিকে, হাবিব সোনাডাঙ্গা এলাকার হালিম শেখের ছেলে এবং সুজন বাগেরহাট সদরের আফরা কাজী বাড়ির বাসিন্দা।
অভিযান ও উদ্ধার
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা খায়রুল বাশার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চক্রাখালী এলাকায় ফারুকের হাসের খামারে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। এ সময় তাওহিদুল ইসলাম তুহিন ওরফে কালা তুহিন (৩৫), হাবিব শেখ (৩২) ও কে এম মিজানুর রহমান ওরফে সুজন (৪৫) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিদের এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মালামাল সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালা তুহিনের অপরাধের ইতিহাস
ওসি খায়রুল বাশার জানান, কালা তুহিন দীর্ঘদিন ধরে গ্রেনেড বাবুর সঙ্গে নানা অপকর্ম করে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ২২টি মামলা রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, এই ধরনের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পুলিশ প্রশাসনও এই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এ ধরনের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারা গোপন তথ্য সংগ্রহ করে এবং অভিযানের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেলে এই ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
খুলনায় সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর সহযোগী কালা তুহিনসহ তিনজনের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি প্রমাণ করে যে, পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের দমন করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।