জাতীয়

জঙ্গি অভিযোগে ৯ তরুণ হত্যা, আইজিপিসহ তিনজন কারাগারে

২০১৬ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বাড়ি’তে ইসলামিক ভাবধারার ৯ তরুণকে জঙ্গি নাম দিয়ে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মিসকেস) দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা

এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এবং ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার অভিযোগ

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে ৯ তরুণকে আটকে রেখে সোয়াত ও সিটিটিসি সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। তাঁরা জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে প্রচার করে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, তদন্তে জানা গেছে, এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে বহু আগে। কেউ কেউ ডিবি হেফাজতে ছিলেন দুই-তিন মাস ধরে। পরে তাঁদের ধরে নিয়ে ওই বাসায় জড়ো করা হয় এবং রাতের বেলা ব্লক রেইডের কথা বলে সেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা হাজির হন।

ভয়ের সংস্কৃতি

তিনি উল্লেখ করেন, ওই সময় জঙ্গি নাটক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ইসলামিক ভাবধারার মানুষদের জঙ্গি নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যা একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

পরবর্তী শুনানি

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে।

এই মামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নতুন আলো ফেলা হচ্ছে। এটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button