চীন সফরে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পাচ্ছেন। আসন্ন চীন সফরের সময় তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শীর্ষ দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি
রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ড. ইউনূস আগামী ২৯ মার্চ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বক্তব্য দেবেন। একই অনুষ্ঠানে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে।
চীনে বিনিয়োগ ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও জানান, চীন সফরের অংশ হিসেবে দেশটির বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, “চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চীন জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে একটি আধুনিক জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা চান, চীনের চেইন হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করুক এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি করুক।”
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক
আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
সংস্কার প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই সংস্কার আন্তর্জাতিক কোনো প্রক্রিয়ায় হবে না, বরং এটি হবে সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন পাওয়ার কথা বলা হলেও, সরকার তা গ্রহণ করবে কি না সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
চীন সফর এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি গ্রহণের মাধ্যমে ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি আরও বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।