মধ্যপ্রাচ্যকে ছাড়িয়ে প্রবাসী আয়ের শীর্ষে পশ্চিমা দেশগুলো

বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একসময় দেশের রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আয়ের শীর্ষ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয়ের উৎস
গত বছরের আগস্টে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আয়ের শীর্ষ উৎস হিসেবে তালিকায় উঠে আসে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পেছনে ফেলে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মোট প্রবাসী আয় ছিল প্রায় ২১৯ কোটি মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ৬৮ কোটি ডলার বা ৩১ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে।
মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা
ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী আয় প্রেরণকারী শীর্ষ দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেখানে ৩৭ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী আয় বেড়ে সোয়া ২৭ কোটি ডলার হয়েছে, যা ডিসেম্বরের তুলনায় ৯ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি।
প্রবাসী আয় প্রেরণের পদ্ধতি
প্রবাসী আয় প্রেরণকারী বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আয় সংগ্রহ করে এবং তা নির্দিষ্ট একটি দেশ থেকে গন্তব্যে পাঠায়। এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যান্য উৎস
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে জানুয়ারিতে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৯৫ কোটি ডলার, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ৬৮ কোটি ডলার। ইউরোপের দেশগুলো, যেমন ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস ও পোর্টুগালও প্রবাসী আয়ের বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উৎসে এই পরিবর্তন দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো থেকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।