শ্রমিকপক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে, যদিও শ্রমিকপক্ষের অনেক আপত্তি আমলে নেওয়া হয়নি। আজ মঙ্গলবার এই খসড়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে এবং সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০-২০ মার্চ অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকেও উপস্থাপন করা হবে।
আইন সংশোধনের সময়সীমা
তবে চলতি মার্চ মাসের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হচ্ছে না। আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক শেষ হওয়ার পর দেশে ফিরে পুরো কাজ শেষ করা যাবে না। খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে অনুমোদন হওয়ার পর অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে, যা কিছুটা সময় নেবে।
শ্রমিকপক্ষের উদ্বেগ
শ্রমিকপক্ষের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিল ও গ্র্যাচুইটি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না এবং স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারও রাখা হচ্ছে না।
শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “শ্রম আইনের সংশোধনীটি শ্রমিকবান্ধব হচ্ছে না। আইএলও কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, এমন পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে।” তিনি আরও বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ছয় মাস, পোশাক খাতের জন্য চার মাস, কিন্তু অনানুষ্ঠানিক খাতে ছুটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
সরকারের অবস্থান
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, “আইন সংশোধনের খসড়াটি যে চূড়ান্ত করা হয়েছে, আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠকে তা আমরা তুলে ধরতে পারব।”
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিকপক্ষের দাবি, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।