অর্থনীতি

শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে ডিসিসিআই সভাপতির ক্ষোভ

শতাধিক পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। এই সিদ্ধান্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং জনগণের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৫ সালের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের সময় তাসকীন আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ

সংবাদ সম্মেলনে তাসকীন আহমেদ বলেন, “সরকার প্রাইভেট সেক্টরের উপর ক্রমাগত শুল্ক ও ভ্যাট চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা দাবি জানাই, সরকারি খরচ কমিয়ে এই চাপ হ্রাস করুন। সরকারি খরচ ২০ শতাংশ কমালে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এটি অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি: ব্যবসার সংকট

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে তিনি জানান, গত তিন বছরে গ্যাসের দাম প্রায় ২০০ শতাংশ বেড়েছে। নতুন উদ্যোগে এটি আরও ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির সমান।

তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা কোনো ম্যাজিক করতে পারে না যে, ৪০০ শতাংশ মুনাফা করবে। তাছাড়া চাহিদার ৬০-৬৫ শতাংশ গ্যাস এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে দাম বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশ পিছিয়ে পড়বে।”

রাজনীতি ও অর্থনীতি আলাদা রাখার আহ্বান

রাজনীতি ও অর্থনীতির মিশ্রণের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, “রাজনীতি ও ব্যবসাকে একসঙ্গে মিশিয়ে ফেললে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে যেতে পারেন, তবে রাজনীতিকে ব্যবসার মধ্যে আনা উচিত নয়।”

ডিসিসিআই সভাপতি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার উপর জোর দেন এবং নীতিগত স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button