অর্থনীতি

কাঁপছে এশিয়ার শেয়ারবাজার, কমেছে তেলের দাম

Advertisement

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই বড় ধস দেখেছে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পতন ঘটেছে প্রধান শেয়ারসূচকগুলোতে। একইসঙ্গে কমেছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম।

প্রধান সূচকে বড় পতন

  • জাপান: নিক্কি ২২৫ সূচক ৬.৩% হ্রাস
  • হংকং: হ্যাং সেং সূচক ৯.৮% হ্রাস
  • তাইওয়ান: প্রায় ১০% পতন
  • সিঙ্গাপুর: ৮.৫% পতন

বিশেষ করে হংকংয়ের বাজারে ব্রিটিশ ব্যাংক এইচএসবিসিস্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর শেয়ারে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে।

তেলের বাজারেও ধস

বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় ডব্লিউটিআই (WTI) ক্রুড অয়েলের দাম নেমে এসেছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে, আর ব্রেন্ট ক্রুড দাঁড়িয়েছে ৬৩ ডলারে। তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ওয়াল স্ট্রিটেও বড় ধসের ইঙ্গিত

যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট ফিউচার সূচকও অনেকখানি পড়ে গেছে। ফলে বাজার খোলার পর ওয়াল স্ট্রিটেও বড় ধসের আশঙ্কা করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ট্রাম্প: “ওষুধ কাজ করছে”

৯ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি। সমালোচনার মুখেও নিজের অবস্থানে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,

“শেয়ারবাজারের পতন নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। কখনো কখনো কিছু ঠিক করতে হলে ‘ওষুধ’ দিতে হয়—আমি সেটাই করছি।”

তিনি আরও বলেন,

“আমি চাই না কোথাও ধস হোক, তবে বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটার জবাব দিতেই এই ব্যবস্থা।”

বিশ্বজুড়ে সমালোচনা, বাংলাদেশও শুল্কের তালিকায়

ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণ’ করেছে বলে তার ভাষায়, তাদের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। এই ৬০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে

ট্রাম্পের যুক্তি অনুযায়ী, কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে যত শুল্ক আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পণ্যে তার অর্ধেক হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে।

  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা সরাসরি বৈশ্বিক পুঁজিবাজার ও পণ্যমূল্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।
  • বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানির ওপর শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
  • তেল আমদানিকারক দেশগুলোর জন্য স্বল্পমেয়াদে ভালো খবর হলেও বাজারে স্থিতিশীলতা না ফিরলে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button