দক্ষিণ-পূর্ব স্পেনের একটি শহরে ক্রীড়া সেন্টারে প্রকাশ্য ধর্মীয় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এই নিষেধাজ্ঞা মূলত সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্পেনের বামপন্থী কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। আসুন, আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করি।
নিষেধাজ্ঞার পটভূমি
জুমিল্লার রক্ষণশীল স্থানীয় সরকার সম্প্রতি নতুন একটি নিয়ম অনুমোদন করেছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। স্পেনের অভিবাসনমন্ত্রী এরমা সাইজ এই সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং স্থানীয় নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটি মূলত কট্টর-ডানপন্থী ভক্স পার্টির কাছ থেকে এসেছে। শহরের মেয়র সেভ গঞ্জালেস দাবি করেছেন যে, কোনো একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি, বরং স্থানীয় সংস্কৃতির চিহ্ন রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া
স্পেনের ইসলামিক কমিউনিটি ইউনিয়নের সেক্রেটারি মোহাম্মদ এল গাইদৌনি এই নিষেধাজ্ঞাকে প্রাতিষ্ঠানিক ইসলামোফোবিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতামত যে মুসলিমদের ধর্মীয় জমায়েত শহরের পরিচয়ের সঙ্গে যায় না, তা নিন্দনীয়।
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের বিশেষ দূত মিগুয়েল মোরাটিনোস এই সিদ্ধান্তে মর্মাহত হয়েছেন এবং স্পেনে জেনোফোবিক বক্তব্য ও ইসলামোফোবিক মনোভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।
স্পেনের জুমিল্লা শহরের ক্রীড়া সেন্টারে ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের একটি উদাহরণ। এই পদক্ষেপটি সামাজিক সংহতির জন্য হুমকি এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জরুরি।
এই সংবাদটি আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সামাজিক সংহতির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
MAH – 12220 , Signalbd.com



