
ওয়াশিংটনে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩০ মরদেহ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
সংঘর্ষের ঘটনা
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মাঝ আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ ঘটে। উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি পরে হিমশীতল পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
আমেরিকান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের পরিচালনাধীন উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। অপরদিকে, মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, হেলিকপ্টারটিতে তিন সেনা ছিলেন।
প্রশিক্ষণ ফ্লাইট
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট টাস্কফোর্স-ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের গণমাধ্যমবিষয়ক প্রধান হেদার চাইরেজ সিবিএস নিউজকে জানান, সামরিক হেলিকপ্টারটি একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট ছিল।
স্বজনদের উদ্বেগ
বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের যাত্রীদের স্বজনদের ভিড় জমেছে। তারা জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাননি। বরং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকেই তারা বেশি তথ্য পাচ্ছেন।
অতীতের দুর্ঘটনা
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে কোনো প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উড়োজাহাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলোতে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। এই নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিনথ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই ঘটনায় ৭০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু নিহত হয়। শুধু চার যাত্রী এবং একজন ক্রু বেঁচে গিয়েছিলেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এখন পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছে এবং কর্তৃপক্ষ মরদেহ শনাক্তের কাজ শুরু করেছে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে। বিশ্ব