বানিজ্য

সয়াবিন তেল লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা

৩১ মার্চ থেকে ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত উঠে যাচ্ছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিশোধনকারী মিলমালিকেরা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে এই আবেদন করেছেন।

দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে নুরুল ইসলাম মোল্লা এই আবেদন করেন। প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৩ টাকা হবে, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ টাকা থেকে ১৭০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ

রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের শুল্ক-করে যে রেয়াতি সুবিধা দিয়েছিল, তার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যদি ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়, তবে দাম আগের মতোই থাকবে। কিন্তু শুল্ক-কর অব্যাহতি উঠে গেলে আমদানির খরচ বাড়বে, ফলে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।

সরকারের সিদ্ধান্ত

গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কয়েক দফায় ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড় দেয় সরকার। এসব সুবিধার মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের অব্যাহত শুল্ক-কর রেয়াত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিকুল আতাহার বলেন, “ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত শুল্ক রেয়াত প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকার শুল্ক রেয়াত অব্যাহতি দিলে ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে আর বাড়বে না।”

ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব এবং শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। সরকার যদি শুল্ক রেয়াত অব্যাহত রাখে, তবে দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে, অন্যথায় ভোক্তাদের জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button