বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসের ফলে এই খাতের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, শক্তিশালী অবকাঠামো ও স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহের অভাব এই খাতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
মার্কিন শুল্ক হ্রাস: সুফল ও প্রতিযোগিতা:
যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের শুল্ক ৩৭% থেকে ২০% হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাতের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, চীন ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক কম হলেও, অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
বিপুল চাহিদা পূরণে সক্ষমতা:
বাংলাদেশের পোশাক খাতের রফতানি বৃদ্ধি হলেও, বিপুল চাহিদা পূরণে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যাংকিং খাতে সমস্যা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি, এবং চট্টগ্রাম বন্দরের অক্ষমতা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও জটিল করে তুলছে।
ব্যাংকিং খাতের সমস্যা:
রফতানি পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতে সমস্যা রয়েছে। ব্যাক টু ব্যাক পেমেন্টে বিলম্ব, রফতানি পেমেন্টের অনিয়ম, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে রেড মার্কের কারণে ব্যাংকগুলোতে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
জ্বালানি সরবরাহের সমস্যা:
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি পোশাক কারখানার উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। গ্যাসের অবস্থা খুবই খারাপ, যা উৎপাদন ব্যাহত করছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের অক্ষমতা:
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ধীর গতির কারণে পণ্য লোড-আনলোডে সমস্যা হচ্ছে। আউটার এংকারেজে জাহাজ ১২ থেকে ১৫ দিন বসে থাকছে, এবং ভেতরে আসার পরেও ৩-৪ দিন সময় লাগছে।
সরকারের উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। পোশাক খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে শক্তিশালী অবকাঠামো, স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ, এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
মার্কিন শুল্ক হ্রাস বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে, শক্তিশালী অবকাঠামো ও স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পোশাক খাতকে আরও উন্নত ও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা সম্ভব।
MAH – 12644, Signalbd.com



