ফ্রান্সের আদালতে মামলা করলেন পিনাকী ভট্টাচার্য, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য ফ্রান্সের আদালতে মামলা করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তার ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করে তাকে হয়রানি এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য জানান, ফ্রান্সে তার বাড়ির ঠিকানা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে এবং একদল ব্যক্তি তাকে হেনস্তার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার কারণ ও অভিযোগ
তার অভিযোগের মূল বিষয়বস্তু হলো
১. তার ব্যক্তিগত ঠিকানা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে
২. তাকে হেনস্তার হুমকি দেওয়া হয়েছে
৩. তাকে হত্যার উসকানি দেওয়া হয়েছে
৪. তার পরিবারের ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
পিনাকী ভট্টাচার্য জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব কাজ করা হয়েছে এবং তিনি এর সঠিক বিচার চান।
বাংলাদেশেও আইনি ব্যবস্থা
তিনি জানান, বাংলাদেশেও এ ঘটনায় পৃথক মামলা করা হয়েছে। তার বগুড়ার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং স্থানীয় জনগণ তার পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, তার পিতার মৃত্যুর পরও স্থানীয় জনগণ শোক পালন করেছিল। সেই শহরে তার বাড়ির ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
১. অনেকেই তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা গুরুতর অপরাধ এবং এর যথাযথ আইনি প্রতিকার হওয়া উচিত
2. কেউ কেউ মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা
3. ফ্রান্সসহ ইউরোপের আইন অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ
ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী শাস্তি
ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাইবার নিরাপত্তা আইন রয়েছে, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের শাস্তির বিধান রয়েছে।
১. অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে
২. অনলাইনে হয়রানি বা হুমকি প্রদান করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়
৩. ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালার অধীনে এ ধরনের অপরাধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়
পিনাকী ভট্টাচার্যের মামলাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও হয়রানির বিষয়টি সামনে এনেছে। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং অনলাইন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার গুরুত্বকেও তুলে ধরেছে।