‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারা দেশে গ্রেপ্তার ৩৪৩ জন, অস্ত্র উদ্ধার

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে পরিচালিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন এবং ১১টি গুলি।
গ্রেপ্তারির বিস্তারিত
গতকাল রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। একই সময়ে, বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১,১৭৮ জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আজ সোমবার বিকেলে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য
আজ দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ডেভিলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে।” তিনি আরও জানান, এই অভিযান চলবে যতদিন পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়।
গাজীপুরের ঘটনার প্রেক্ষাপট
গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা ডাকাতির খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের মারধর করা হয়।
অভিযান শুরুর কারণ
গত শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এক সভায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারির সংখ্যা
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরুর পর গত শনিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১,৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে ২৭৪ জন এবং গাজীপুর মহানগর ও জেলা থেকে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেপ্তার হন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে চায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।