রোজার পণ্য নিয়ে এবার বড় ব্যবসা করেছে ইউরোপের দুই বহুজাতিক কোম্পানি। সুইজারল্যান্ডের লুইস ড্রেইফাস কোম্পানি (এলডিসি) ও নেদারল্যান্ডসের ভিটেরা বাংলাদেশের রোজার পণ্যের ১৮ শতাংশ সরবরাহ করেছে।
বিদেশি কোম্পানির ব্যবসা
গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে খালাস হওয়া রোজার পণ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এলডিসি ২৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারের পণ্য সরবরাহ করে শীর্ষস্থানে রয়েছে, যা মোট পণ্যের ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। তারা ছোলা, মসুর ডাল, গম, সয়াবিন তেল ও চিনি সরবরাহ করেছে।
নেদারল্যান্ডসের ভিটেরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা ৩ লাখ ৮০ হাজার টন রোজার পণ্য সরবরাহ করেছে এবং তাদের আয় হয়েছে ২২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
আমদানির পরিসংখ্যান
এ সময়ে রোজার পণ্যের মধ্যে তেল, চিনি, গম, ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুরের আমদানির হিসাব ধরা হয়েছে। মোট ২৫৩ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এই ছয়টি পণ্য আমদানিতে।
স্থানীয় বাজারের প্রভাব
বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ব্যবসা মূলত দেশীয় ভোগ্যপণ্যের বড় বড় শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে। গত এক দশকে বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের শিল্পগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, “বিশ্বে কৃষিপণ্য সরবরাহের একচেটিয়া বাজার ইউরোপ–আমেরিকার বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর হাতে। পণ্যের গুণগত মান ও সময়মতো সরবরাহের অঙ্গীকার ঠিক রাখে তারা।”
রোজার পণ্যের ব্যবসায় ইউরোপের কোম্পানিগুলোর এই সাফল্য বাংলাদেশের বাজারে বিদেশি পণ্যের চাহিদা ও গুণগত মানের ওপর একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। এটি দেশের কৃষিপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বহুজাতিক কোম্পানির ভূমিকা ও প্রভাবকে আরও সুস্পষ্ট করে তুলেছে।



