ব্যাটসম্যানদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যত রেকর্ড এবার

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এবারই প্রথমবার দুই দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। হাইব্রিড মডেলের এই টুর্নামেন্টে এখন বিদায়ের রাগিণী। ৯ মার্চের ফাইনালের আগেই আট দলের এই টুর্নামেন্টে পুরোনো অনেক রেকর্ড ভেঙে পড়েছে।

ছক্কার নতুন রেকর্ড

বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচে একটি বলও হয়নি এবং আরেকটি ম্যাচে খেলা হয়েছে অর্ধেকের একটু বেশি। তবুও এবারের টুর্নামেন্টে ছক্কার রেকর্ড গড়া হয়েছে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত ১২৭টি ছক্কা মারা হয়েছে, যা আগের রেকর্ডের চেয়ে ১৪টি বেশি। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৭ সালে, যেখানে ১১৩টি ছক্কা মারা হয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এই দুই আসরেই ১০০-এর বেশি ছক্কা মেরেছেন ব্যাটসম্যানরা।

সেঞ্চুরির নতুন মাইলফলক

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভেঙেছে। এর আগে দুবার ১০টি করে সেঞ্চুরি দেখা গেলেও, এবার ফাইনালের আগেই ১৪টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত দুটি ইনিংস এবারের টুর্নামেন্টে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট ১৬৫ রান করে ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টলের রেকর্ড ভেঙেছেন। অ্যাস্টল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ডাকেটের রেকর্ডটি ৪ দিন পরেই কেড়ে নেন আফগানিস্তানের ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান, যিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রান করেন।

দ্রুততম সেঞ্চুরি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে করেছেন ডেভিড মিলার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে তিনি বীরেন্দর শেবাগ ও জশ ইংলিসের রেকর্ড ভেঙেছেন। শেবাগ ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ইংলিস ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সর্বাধিক রান

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের দুটি ম্যাচও এবার হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে রেকর্ড ৭০৭ রান হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে ৬৭৪ রান করেছে। আগের রেকর্ড ছিল ৬৪৩, যা ২০১৭ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হয়েছিল।

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ব্যাটসম্যানদের জন্য রেকর্ডের এক নতুন অধ্যায়। ছক্কা, সেঞ্চুরি এবং সর্বাধিক রান—সবকিছুতেই নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে এই টুর্নামেন্ট। ৯ মার্চের ফাইনালটি দেখার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।