রদ্রিগো ও আলভারেজের গোল: রবিনের তির, নাকি ভিঞ্চি–অ্যাঞ্জেলোর তুলি

চ্যাম্পিয়নস লিগে গতকাল রাতে চোখধাঁধানো গোল করেছেন রদ্রিগো ও হুলিয়ান আলভারেজ। ফুটবলের সৌন্দর্য তাঁদের পায়ে আছে, তবে চারুকলায় লেওনার্দো দা ভিঞ্চি ও মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর মতো তাঁরা এখনও পৌঁছাতে পারেননি। কিন্তু তাঁদের গোলের মুহূর্তে মনে হতে পারে, যেন ভিঞ্চির তুলির টান অথবা অ্যাঞ্জেলোর শিল্পকর্ম।
গোলের মুহূর্ত
রদ্রিগো ও আলভারেজের গোল দুটি দেখে মনে হতে পারে, এ যেন রবিনহুডের জোড়া তির! রদ্রিগো মাঠের ডান প্রান্ত থেকে বক্সে ঢোকার পথে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বাঁ পায়ের চোখধাঁধানো শটে গোল করেন। অন্যদিকে, আলভারেজের গোলটি বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডান প্রান্তের দূরের পোস্টে গিয়ে জালে প্রবেশ করে।
পরিসংখ্যানের দিক থেকে
কোহলির মতো, রদ্রিগো ও আলভারেজের গোলও নিখুঁত ছিল। রদ্রিগোর গোলটি ৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে করা, যা আতলেতিকোর বিপক্ষে যেকোনো প্রতিযোগিতার নকআউট ম্যাচে রিয়ালের দ্রুততম গোল। আলভারেজের গোলটি চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে রিয়ালের ঘরে ঢুকে গোল করার জন্য দ্বিতীয় আর্জেন্টাইন হিসেবে পরিচিত।
অন্যান্য কিংবদন্তির তুলনা
সাঙ্গাকারার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৮০ ইনিংসে ৫,৬৮৮টি সিঙ্গেল রয়েছে, এবং জয়াবর্ধনের ৩৮১ ইনিংসে ৫,০৪৬টি সিঙ্গেল রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি ও জ্যাক ক্যালিসও এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন।
ফুটবলের রোমান্টিকতা
ফুটবলের রোমান্টিক সমর্থকেরা হিসাব মিলিয়ে নিতে পারেন, রদ্রিগোর গোল বাঁ পায়ে, আলভারেজের ডান পায়ে। দুই গোলের মধ্যে প্রতিযোগিতার মতোই রয়েছে রিয়াল ও আতলেতিকোর সম্পর্ক। তবে, এই মুহূর্তগুলোতে ফুটবলারদের মধ্যে ঐশ্বরিক কিছু ভর করে, যা তাঁদের খেলার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
রদ্রিগো ও আলভারেজের গোলের মাধ্যমে ফুটবলের সৌন্দর্য আবারও প্রমাণিত হলো। তাঁদের এই অসাধারণ মুহূর্তগুলো ভবিষ্যতের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ফুটবলে সৌন্দর্য এবং নিখুঁত হওয়ার জন্য কখনো কখনো ঐশ্বরিক কিছু মুহূর্ত প্রয়োজন হয়, যা রদ্রিগো ও আলভারেজের গোলের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।