বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্স, তবুও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিশাল আয়!

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল করুণ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে সবার আগে বাদ পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে কোটি টাকা আয় করছে। কীভাবে?
অংশগ্রহণ ফি ও পুরস্কার
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে অংশগ্রহণ ফি। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, ৮ দলের মধ্যে বাংলাদেশ যদি অষ্টমও হয়, তাহলেও আর্থিক পুরস্কার পাবে। সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৪০১ টাকা) করে পাবে।
এছাড়া, প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৩৭ টাকা) করে পাবে। এর মানে, বাংলাদেশ দলের কোষাগারে ইতিমধ্যে ৩ কোটি টাকার বেশি চলে এসেছে।
সম্ভাব্য আয় বৃদ্ধি
বাংলাদেশ যদি আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়লাভ করে, তাহলে তাদের আয় আরও বাড়বে। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য প্রাইজমানি ৩৪ হাজার ডলার (৪১ লাখ ৮ হাজার ২৬ টাকা)। এই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ৪১ লাখ টাকা বেশি আয় করবে।
চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কার
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন দল ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা) পাবে। ২০১৭ সালে সর্বশেষ আসরের চেয়ে এবারের প্রাইজমানি ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।
সান্ত্বনা পুরস্কার
চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক অর্থ পাবে ফাইনালে হেরে যাওয়া দল—১১ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২১২ টাকা)। সেমিফাইনালে বাদ পড়া দুটি দলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে (প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা)।
এভাবে, বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক লাভ হচ্ছে, যদিও তারা টুর্নামেন্টে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি।