সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াবাসহ আটক

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানকে ১২ হাজার ২৭৪টি ইয়াবা বড়িসহ আটক করেছে কোস্টগার্ড। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদেও রয়েছেন। আজ শনিবার ভোর চারটার দিকে তার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক চেয়ারম্যানের পরিচিতি
মুজিবুর রহমান সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান ও আটক
কোস্টগার্ড জানায়, মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি মজুত করে রাখা হয়েছে, এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় তিনি ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কোস্টগার্ড সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির একপর্যায়ে একটি বস্তার ভেতরে লুকানো অবস্থায় ইয়াবা বড়িগুলো পাওয়া যায়।
কোস্টগার্ডের বক্তব্য
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক বলেন, “আটক আসামিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। মাদকের বিস্তার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।”
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, “ইয়াবাসহ এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এখনো তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।”
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান
মুজিবুর রহমানের আটক হওয়ার ঘটনা মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের একটি অংশ। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ইয়াবা, হেরোইন, মেথামফেটামিনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে এই অভিযানগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
সমাজে প্রভাব
মাদকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার এবং ব্যবসা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
মুজিবুর রহমানের আটক হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা মাদকবিরোধী অভিযানের গুরুত্বকে তুলে ধরে। আশা করা হচ্ছে, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে এবং সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে সহায়ক হবে।