বানিজ্য

কলকাতায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন

কলকাতায় আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনে ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পপতিরা অংশগ্রহণ করছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের।

সম্মেলনের পটভূমি

গত বছর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ সম্মেলনটি ২০২৩ সালের ২১ ও ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবারও মুকেশ আম্বানি এবং অন্যান্য দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা এতে অংশ নিয়েছিলেন।

মুকেশ আম্বানির ঘোষণা

গত শিল্প সম্মেলনে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী তিন বছরে বাংলায় ২০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এর আগেই বাংলায় তারা ৪৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে। তিনি বলেছিলেন, বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আরও উন্নত করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে জিওকে আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হবে।

সম্মেলনের স্থান ও সময়

আজ বেলা দুইটায় এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু হয়েছে কলকাতার উপশহর রাজারহাটের নিউটাউনে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মিলনায়তন বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে। আগামীকাল এই সম্মেলন শেষ হবে।

বাংলাদেশের শিল্পপতিদের অনুপস্থিতি

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের শিল্পপতিরা যোগ দিলেও, এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের কোনো শিল্পপতি বা প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন না। এটি একটি দুঃখজনক বিষয়, কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এই ধরনের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ।

বাণিজ্য সম্মেলনের গুরুত্ব

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিরা একত্রিত হয়ে ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। এই সম্মেলন নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করে।

অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে, যদি দেশের শিল্পপতিরা এতে অংশগ্রহণ করতেন। আশা করা হচ্ছে, এই সম্মেলন থেকে নতুন ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button