নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দীর্ঘ ১৯ বছর পর অবশেষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ক্যারিবীয়রা জয় ছিনিয়ে নেয় ৭ রানের ব্যবধানে। এই জয় ক্যারিবীয় ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে।
স্যান্টনারের ঝড়েও অটল থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই
শেষ তিন ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৫৬ রান। তখন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে স্বাগতিকরা। ১৮তম ওভারে ম্যাথিউ ফোর্ডের বলে ২৩ রান তুলে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন স্যান্টনার। পরের ওভারে জেসন হোল্ডারের প্রথম তিন বলে হ্যাটট্রিক চার মেরে সমীকরণ নামিয়ে আনেন ৯ বলে ২১ রানে। কিন্তু ওভারের শেষ তিন বলে মাত্র ১ রান আসায় পাল্টে যায় ম্যাচের গতিপথ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান—স্যান্টনার নিতে পারেন মাত্র ১২। ২৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস সত্ত্বেও জয় ধরা দেয়নি কিউইদের হাতে।
ক্যারিবীয় বোলারদের শৃঙ্খলিত প্রদর্শন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেইডন সিলস ও রোস্টন চেস বল হাতে সমান ৩টি করে উইকেট নেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন ভেঙে দেয়। এর ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড থামে লক্ষ্য থেকে ৭ রান দূরে।
হোপের নেতৃত্বে ব্যাটিংয়ে স্থিতি
অধিনায়ক শাই হোপ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে খেলেন ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি দলকে দেয় শক্ত ভিত। শেষ দিকে রোভম্যান পাওয়েল যোগ করেন দ্রুত ৩৩ রান, যা দলকে এনে দেয় ১৬৪ রানের প্রতিযোগিতামূলক সংগ্রহ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে জ্যাকব ডাফি ও জ্যাক ফুলকেস নেন দুটি করে উইকেট।
ঐতিহাসিক জয়: ১২ ম্যাচে প্রথম সরাসরি সাফল্য
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১২তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আগের ১১ ম্যাচে একমাত্র জয় এসেছিল ২০০৮ সালে টাইয়ের পর সুপার ওভারে। তবে এবারের জয়ই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের প্রথম সরাসরি জয়, যা ১৯ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল।
আগামী ম্যাচে নজর অকল্যান্ডেই
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল, একই ভেন্যু অকল্যান্ডে। প্রথম ম্যাচ জিতে ক্যারিবীয়রা এখন এগিয়ে আত্মবিশ্বাসে। এই জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুধু ইতিহাসই গড়েনি, বরং সিরিজে এগিয়ে গেল একধাপ।
SRS – 20001 | Signalbd.com



