ক্রিকেট

৪ উইকেটে লঙ্কাবধ করলো বাংলাদেশ

Advertisement

এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শেষ হয়েছে শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনায়। ওপেনার সাইফ হাসানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস আর তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিং জয় এনে দেয় টাইগারদের।

ম্যাচের শুরুতেই লঙ্কানদের দাপট

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। তবে সেই সিদ্ধান্তের পরই দারুণ ব্যাটিং করতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকা ছিলেন লঙ্কান ইনিংসের নায়ক। তার অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ১৬৮ রান।

এছাড়া কুশল মেন্ডিস ৩৪ ও চারিথ আসালাঙ্কা ২১ রান যোগ করেন। যদিও বাংলাদেশের বোলাররা শেষদিকে চাপ ধরে রাখতে সক্ষম হন, তবুও লঙ্কানরা তুলেছিল লড়াইয়ের মতো স্কোর।

সাইফ হাসানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা খুব ভালো হয়নি। প্রথম কয়েক ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল। তবে সেই চাপ সামলে দাঁড়িয়ে যান ওপেনার সাইফ হাসান।

৪৫ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনি ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন। ইনিংসে আসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। একদিকে উইকেট ধরে রেখে অন্যদিকে রান তোলার গতি বজায় রাখেন তিনি। তার এই ইনিংসই বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়।

শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনা

ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র কয়েক রান। প্রথম বলেই চার মেরে জয়ের স্বপ্ন জাগান জাকের আলী। তবে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। এর এক বল পর বিদায় নেন শেখ মাহেদী। তখন মনে হচ্ছিল ৯ বছর আগের বেঙ্গালুরুর দুঃস্বপ্ন যেন আবার ফিরে আসছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত শান্ত থাকেন নাসুম আহমেদ। এক রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ১৯.৫ ওভারে ১৬৯ রান তুলে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ।

সুপার ফোরে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু

গ্রুপপর্বে দুটি জয় ও একটি হারে রানার্স-আপ হয়ে সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। আর সুপার ফোরে এসে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নেওয়ায় ফাইনালে যাওয়ার পথ উজ্জ্বল হলো টাইগারদের।

এই জয় শুধু পয়েন্ট টেবিলে সুবিধা এনে দেয়নি, বরং খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পুরো দলকে নতুন প্রেরণা দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ

ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ম্যাচে বাংলাদেশ যে মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা বড় টুর্নামেন্টে ভালো ফল করতে সহায়ক হবে। সাইফ ও হৃদয়ের পারফরম্যান্স নতুন প্রজন্মের শক্তি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

এক বিশ্লেষকের মতে, “চাপের ম্যাচে শান্ত থেকে খেলোয়াড়রা যে জয় নিশ্চিত করেছে, এটি ভবিষ্যতের বড় লড়াইয়ে বাংলাদেশকে আলাদা আত্মবিশ্বাস দেবে।”

৪ উইকেটে পাওয়া এই জয় শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক আত্মবিশ্বাসের নতুন অধ্যায়। মরুর বুকে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টাইগাররা প্রমাণ করেছে তারা এখন যেকোনো প্রতিপক্ষকে হারানোর মতো সক্ষম। সুপার ফোরের পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও যদি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তবে এশিয়া কাপে ইতিহাস গড়তে পারে বাংলাদেশ।

এম আর এম – ১৪৩৭,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button