চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তানবির আহমেদ বাসা থেকে ডিউটি পোস্টে যাচ্ছিলেন। কলেজগেট এলাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে হঠাৎ একজন নারীর চিৎকার শুনে তিনি দৌড়ে যাওয়া এক ছিনতাইকারীকে চোখে দেখতে পান। দ্রুত মোটরসাইকেল থামিয়ে সার্জেন্ট তানবির সেই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
উদ্ধারকৃত সোনার চেইনের বিবরণ
আটককৃত ব্যক্তির প্যান্টের পকেট থেকে আনুমানিক এক ভরি দুই আনা ওজনের একটি সোনার চেইন উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেইনটির বাজারমূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভুক্তভোগী মোছা শিরিন তার চেইন শনাক্ত করেন এবং পরে ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার পেছনের কাহিনী
সার্জেন্ট তানবির আহমেদ জানান, তিনি ডিউটি পোস্টে যাওয়ার পথে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাইক ঘুরিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করেন। উপস্থিত জনতার সহযোগিতায় তিনি দ্রুত ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, “ট্রাফিক দায়িত্বের পাশাপাশি সড়কের অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। জনগণের সহায়তা থাকলে এ ধরনের দায়িত্ব পালন অনেক সহজ হয়।”
ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম
মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিতভাবে ডিউটি পোস্টের পাশাপাশি সড়কের অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও মনোনিবেশ করছেন। সম্প্রতি কিছু দিন আগে অন্যান্য এলাকায়ও দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধের কার্যক্রম কার্যকর হয়েছে। সার্জেন্ট তানবির আহমেদ ট্রাফিক পুলিশি দায়িত্বের পাশাপাশি এমন দমনমূলক কর্মকাণ্ডে বিশেষ নজর রাখছেন।
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, তারা সার্জেন্ট তানবির আহমেদের সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ। অনেকে বলছেন, “এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা বাড়ায় এবং অপরাধীদের ভীত করে।” এছাড়া ভুক্তভোগী মোছা শিরিনও পুলিশের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ছিনতাই প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ
এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, সচেতনতা, তৎপরতা ও জনসাধারণের সহযোগিতায় অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব। ট্রাফিক পুলিশরা শুধু সড়ক নিয়ন্ত্রণই নয়, সড়কে ঘটতে থাকা অপরাধের উপরও নজর রাখছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অপরাধের হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভবিষ্যতে কি হতে পারে
বিশ্লেষকদের মতে, যদি সার্জেন্ট তানবির আহমেদের মতো পুলিশ কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে সচেতন থাকেন এবং জনসাধারণের সহায়তা পান, তাহলে রাজধানীতে সড়কে ছিনতাই ও চুরি প্রতিরোধ করা আরও সহজ হবে। তবে এর পাশাপাশি সমাজে সাধারণ মানুষের সতর্কতা ও পুলিশি সহায়তা বাড়ানোও জরুরি।
এম আর এম – ০৯০৫, Signalbd.com