জাহাজের মূলধনী যন্ত্র আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে উন্নয়ন ঘটাতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ উদ্যোগের লক্ষ্য জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডগুলোকে পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপইয়ার্ডে উন্নীত করা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কী উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে?
আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে উন্নীত করা হবে। এর পর থেকে পরিবেশবান্ধব মান নিশ্চিত না হলে কোনো জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বাংলাদেশে আনা যাবে না।
মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে দেওয়া ভ্যাট অব্যাহতির শর্তগুলো হলো:
- আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি কেবল শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
- ন্যূনতম পাঁচ বছরের আগে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।
- পাঁচ বছরের মধ্যে যন্ত্রপাতি বিক্রি বা হস্তান্তর করা হলে প্রাপ্ত ভ্যাট সুবিধা বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর আদায় করা হবে।
- আমদানি পর্যায়ে একটি অঙ্গীকারনামা তিনশ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে দাখিল করতে হবে।
পরিবেশবান্ধব শিল্পে গুরুত্ব
সরকারের এই উদ্যোগ দেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তরিত হলে দেশের রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিবেশ সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে।