চার দিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
সফরের উদ্দেশ্য
এই সফরে ড. ইউনূস বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তার হাত থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও, ১১ জুন তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিনে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, চ্যাথাম হাউসে তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি বিশেষ ভাষণ দেবেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং এখানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বৈঠক
আগামী ১৩ জুন লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকটি রাজনৈতিক মহলে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি
প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় শেখ রেহানার মেয়ে ও সাবেক ব্রিটিশ মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক দুদকের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন।
অন্যান্য কর্মসূচি
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রত্যাবর্তনের তারিখ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার পরিকল্পনা রেখেছেন।
বিশ্লেষকদের মতামত
ড. ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, রাজনৈতিক বৈঠক এবং দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব এই সফরকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।