অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা: ইসলামিক এমিরেটের প্রতিবাদ

অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের চার শীর্ষ কর্মকর্তার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ পদক্ষেপকে অস্ট্রেলিয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে নেওয়া সিদ্ধান্ত হিসেবে তুলে ধরেছে, বিশেষ করে আফগান নারীদের এবং মেয়েদের অধিকার নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা:
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া ইসলামিক এমিরেটের চার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এদের মধ্যে আছেন: ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রী, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, বিচার মন্ত্রী এবং আফগান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। অস্ট্রেলিয়া অভিযোগ করেছে যে, এই কর্মকর্তারা নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চলাচল এবং পাবলিক লাইফে অংশগ্রহণের অধিকার হরণ করেছেন।
ইসলামিক এমিরেটের প্রতিবাদ:
ইসলামিক এমিরেটের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই নিষেধাজ্ঞাগুলিকে “ভিত্তিহীন” ও “অন্যায়” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেট, এর মন্ত্রিসভা এবং মন্ত্রীদের অস্ট্রেলিয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই এবং এমন সম্পর্কের কোনো প্রয়োজনীয়তাও নেই।
নারীদের অধিকার ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রশ্ন:
ইসলামিক এমিরেটের প্রচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈফ-উল-সালাম খায়বর বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি আফগান সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অসম্মান করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আফগানরা নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং তাদের উপর পশ্চিমা দেশগুলোর চাপানো সংস্কৃতি অগ্রহণযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ববর্তী ভূমিকা:
অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে। আফগানিস্তানে ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অংশ হিসেবে, অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিল।
বিশ্ব রাজনীতিতে আফগানিস্তান:
এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইসলামিক এমিরেটের মধ্যে সম্পর্ক এখন আরো জটিল হয়ে উঠেছে, এবং আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুরু করেছেন।
NA-100009, Signalbd.com



