ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পশ্চিম তীরের সীমান্ত প্রাচীরের একটি দীর্ঘ অংশ ভারী বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে। ধসের ঘটনাটি শুধু অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রটির অবকাঠামোগত দুর্বলতাই প্রকাশ করেনি, বরং তাদের বহু ঘোষিত ‘অভেদ্য নিরাপত্তা নীতি’র ওপরও বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে এ ঘটনাকে “নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুতর সংকেত” বলে অভিহিত করেছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর—এর প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রাচীরটি ইসরাইলের দখলে থাকা পশ্চিম তীর অঞ্চলে, হেব্রন (জাবালে খলিল) পর্বতের দক্ষিণে অবস্থিত আল-রামাদিন গ্রামের নিকটে ধসে পড়ে। স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারির আওতাভুক্ত একটি সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে পরিচিত।
দখলদার রাষ্ট্রের অভেদ্য দেয়ালের ভাঙন
ইসরাইল আন্তর্জাতিক মহলে বারবার দাবি করে আসছে যে তাদের পশ্চিম তীরের সীমানা প্রাচীরটি দেশটির নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই প্রাচীরটিকে ইসরাইল বলত “সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে শক্তিশালী ঢাল”। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই এর দীর্ঘ একটি অংশ ভেঙে পড়া দখলদার রাষ্ট্রটির সামরিক ও নিরাপত্তা সক্ষমতার ভঙ্গুর চিত্র তুলে ধরেছে।
ইসরাইলের জনপ্রিয় দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানায়, টানা বৃষ্টি ও কাদার চাপে প্রাচীরটির একটি বিশাল অংশ সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। সংবাদমাধ্যমটি এটিকে “অত্যন্ত উদ্বেগজনক” বলে মন্তব্য করে, কারণ এই অঞ্চলটি ইসরাইলের নিরাপত্তা নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় এমন ঘটনা ইসরাইলের গোয়েন্দা ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা – কেন এত আলোচনায়?
যে স্থানে প্রাচীর ধসে পড়েছে, সেটি হেব্রন অঞ্চলের দক্ষিণাংশ। ফিলিস্তিনি জনবসতি সমৃদ্ধ এবং দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত এই এলাকা ইসরাইল “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল” বলে চিহ্নিত করে থাকে।
অবস্থানটির গুরুত্ব—
- এটি পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রধান সংযোগ এলাকা
- ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত আল-রামাদিন গ্রামের নিকটে
- ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের নিরাপত্তার অজুহাতে বহু বছর ধরে বিশেষ নজরদারির আওতায়
- দখলদার বাহিনীর চোখে এটি “সংবেদনশীল সীমান্ত অঞ্চল”
প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে যে, যে গ্রামটির পাশে প্রাচীরটি ভেঙেছে, সেটিকে ইসরাইল বহু বছর ধরেই “প্রতিকূল গ্রাম” বলে চিহ্নিত করে আসছে। অর্থাৎ, তাদের দৃষ্টিতে এটি নিরাপত্তা হুমকির একটি সম্ভাব্য উৎস। এমন এলাকায় প্রাচীর ধসে পড়া ইসরাইলের সামরিক পরিকল্পনা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিঃসন্দেহে চাপে ফেলেছে।
প্রাচীর ধসে পড়া—ইসরাইলের নির্মাণ ব্যর্থতা না প্রকৃতির সতর্কবার্তা?
ইসরাইলের পশ্চিম তীর প্রাচীরটি নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে, দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময়। সেই সময় ইসরাইল দাবি করেছিল, এই প্রাচীর “সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে কার্যকর হবে।” কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এটিকে অবৈধ দখলদারিত্বের অংশ, বর্ণবৈষম্যমূলক দেয়াল এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন চলাচলে বাধা হিসেবে আখ্যা দেয়।
যা উল্লেখযোগ্য—
- প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০০ কিলোমিটার
- এর বড় অংশই ফিলিস্তিনি জমি দখল করে নির্মাণ করা
- আন্তর্জাতিক আদালত ২০০৪ সালে এটিকে “আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী” ঘোষণা করেছিল
- শত শত গ্রাম, কৃষিজমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই দেয়াল দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিম তীরের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই প্রাচীরটি নির্মাণের সময় প্রাকৃতিক ভৌগোলিক বাস্তবতা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। বর্ষা ও বন্যার মৌসুমে পাহাড়ি ঢল শক্তিশালী হয় এবং মাটি নরম হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রাচীর ভেঙে পড়া স্বাভাবিক।
এর আগে ২০২০, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রাচীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে আসে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রতিক্রিয়া
বৃষ্টিতে প্রাচীর ধসের খবর প্রকাশের পরপরই ইসরাইলি সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। দখলদার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়—
- ধসে পড়া অংশটি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে
- সম্ভাব্য ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকাতে অতিরিক্ত টহল দেওয়া হচ্ছে
- সীমান্ত প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা মূল্যায়ন করছে
- মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করা হবে
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইল যেভাবে অঞ্চলটিকে “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ” বলে বিবেচনা করে, সেখানে প্রাচীর ধসকে তারা শুধু অবকাঠামোগত ক্ষতি হিসেবে দেখাতে চাইলেও, এটি প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা ব্যর্থতারই ইঙ্গিত দেয়।
ফিলিস্তিনি সমাজে প্রতিক্রিয়া: ‘প্রকৃতি দেখিয়ে দিল দখলদারিত্ব টিকে থাকে না’
ফিলিস্তিনিদের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন—
“ইসরাইলের দখলদারিত্ব যত শক্ত কাঠামোই গড়ুক, প্রকৃতি তার বিচার করে দেয়।”
বহু ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক বলছেন—
- ইসরাইলের দখলদারিত্বের কাঠামো কতটা দুর্বল, প্রকৃতি তার প্রমাণ দিচ্ছে
- দখলদার রাষ্ট্রটি যেভাবে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে দেয়াল তুলেছে, তা ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে
- এ ধরনের ধস দেখায়, অবৈধ দখলদারিত্ব স্থায়ী নয়
অনেকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, প্রাচীরটি শুধু একটি দেয়াল নয়—
এটি ফিলিস্তিনের পরিবারগুলোর বিচ্ছেদ, কৃষিজমি হারানো, জীবিকা নষ্ট হওয়া এবং স্বাধীন চলাচলের বাধা সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞ মতামত: ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোতেও বড় সংকেত
ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো নিয়ে কাজ করা কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন—
- পশ্চিম তীর অঞ্চলটির ভূপ্রকৃতি জটিল
- ইসরাইলের তথাকথিত “অভেদ্য দেয়াল” বাস্তবে বহুদিন ধরেই দুর্বল
- ধারাবাহিক অবহেলা ও দুর্নীতি নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণ হতে পারে
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বৃষ্টিপাতের ধরনে নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে
২০২৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের আকস্মিক বৃদ্ধি ঘটেছে। শীত আসার আগমুহূর্তে পাহাড়ি এলাকায় অস্বাভাবিক ঢল দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে।
ইসরাইলের রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ—বিরোধীরা বলছে ‘নিরাপত্তা ব্যর্থতা’
ইসরাইলের বিরোধী দলগুলো প্রাচীর ধসের ঘটনাকে সরকারের বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছে। তাদের দাবি—
- সরকারের নজরদারি নেই
- অবকাঠামো উন্নয়ন দুর্নীতিগ্রস্ত
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হয়
- সংবেদনশীল এলাকায় এমন ধস গোয়েন্দা ব্যর্থতা প্রকাশ করে
ইসরাইলের ডানপন্থী রাজনীতিকরা বিষয়টি সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরলেও, বামপন্থীরা বলছেন—
“পশ্চিম তীরের অবৈধ প্রাচীর নির্মাণই ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে এত বড় কাঠামো নির্মাণের পরিণতি এটি।”
প্রাচীর ভাঙার ফলে কি নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে? বিশ্লেষকদের ভিন্ন মত
একদিকে ইসরাইল দাবি করছে, প্রাচীর ধসে পড়ার ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। অন্যদিকে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করছেন—
- প্রাচীরটি আসলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যমূলক বিভাজন ব্যবস্থা
- প্রকৃত নিরাপত্তা আসে রাজনৈতিক সমাধান থেকে, দেয়াল নির্মাণ থেকে নয়
- অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ না করলে প্রাচীর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়
আরও অনেকে বলছেন, প্রাচীর ধসে পড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সমস্যার সমাধান না করলেও, এটি দখলদার রাষ্ট্রটির নীতি ভঙ্গুরতার প্রতীক।
প্রাচীর নির্মাণের ইতিহাস: দখলদারিত্বের প্রমাণ
প্রাচীরটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়—
- আন্তর্জাতিক আদালতের রায়: অবৈধ
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিন্দা
- মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ
- ফিলিস্তিনিদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তি
দেয়ালটি মূলত—
- ফিলিস্তিনি বাড়িঘর বিচ্ছিন্ন করেছে
- কৃষিজমি কেড়ে নিয়েছে
- কর্মসংস্থান কমিয়েছে
- সামাজিক ও পারিবারিক যোগাযোগ ভেঙে দিয়েছে
এতসব বিতর্কের মাঝেও ইসরাইল প্রাচীরকে ‘নিরাপত্তার প্রতীক’ হিসেবে প্রচার করেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণেই যখন বড় অংশ ভেঙে যায়, তখন সেই প্রচার অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালের শীতের আগমুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে অস্বাভাবিক আবহাওয়া
এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে অস্বাভাবিক আবহাওয়ার খবর এসেছে—
- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ধরণ বদলে গেছে
- শীতের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিপাত
- পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ ঢল
- দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে স্রোতধারা বৃদ্ধি
- অনেক এলাকায় ভূমিধস
ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্ডান ও লেবানন—একাধিক দেশে বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর রয়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই ধরণের চরম আবহাওয়া আরও ঘনঘন দেখা দিতে পারে।
ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বক্তব্য
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে—
- প্রাচীর ভেঙে পড়া প্রমাণ করে, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্থায়ী ও স্থিতিশীল পদ্ধতি নয়
- ইসরাইল দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে অসংখ্য অবৈধ দেয়াল ও চেকপোস্ট তৈরি করেছে
- প্রাচীরের কারণে হাজারো পরিবার ভোগান্তিতে রয়েছে
- এই দেয়াল কখনোই স্থায়ী সমাধান নয়
অনেক সংগঠন ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে আবেদন জানিয়েছে—
“অবৈধ প্রাচীর সরিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুলে দিতে হবে।”
ইসরাইলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন
প্রাচীর ধসে পড়ার পরে প্রশ্ন উঠছে—
- ইসরাইল কি সত্যিই তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে?
- এত কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত প্রাচীর এত সহজে ভেঙে পড়া কি দুর্নীতির ফল?
- সংবেদনশীল এলাকায় নজরদারি কোথায় ছিল?
- প্রাচীরের নকশা কি ত্রুটিপূর্ণ ছিল?
- ইসরাইল কি প্রকৃতি ও ভূপ্রকৃতি বিবেচনা না করে নির্মাণ করেছে?
ইসরাইলি গবেষকেরা নিজেদের মধ্যেও এ প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছেন।
চূড়ান্ত বিশ্লেষণ: দেয়াল নয়, টেকসই শান্তিই নিরাপত্তার পথ
ঘটনার পর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলেন—
- ইসরাইল যতই প্রাচীর নির্মাণ করুক, শান্তি ছাড়া স্থায়ী নিরাপত্তা সম্ভব নয়
- দখলদারিত্ব ভিত্তিক কাঠামো টেকসই নয়
- ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া এই অঞ্চলে নিরাপত্তা স্থিতিশীল হতে পারে না
- প্রাচীর ধসে পড়া প্রকৃতির বার্তা যে ‘জবরদস্তি দিয়ে শান্তি আনা যায় না’
ইসরাইলের পশ্চিম তীরের প্রাচীর ধসে পড়া কেবল একটি অবকাঠামোগত ব্যর্থতা নয়—এটি দখলদার রাষ্ট্রটির নিরাপত্তা ধারণা, সামরিক কাঠামো, রাজনৈতিক নীতি এবং অবৈধ দখলদারিত্বের ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে।
প্রাচীরটি যেভাবে বিভাজন, দখলদারিত্ব ও সংঘাতের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, তার ধস যেন এক বিশেষ বার্তা দিয়েছে—
অন্যায়ের কাঠামো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
MAH – 14022 I Signalbd.com



