ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক হবে না, বলেছে সৌদি আরব
সৌদি আরব ঘোষণা করেছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক গড়বে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আজ বুধবার রিয়াদ থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য
গতকাল মঙ্গলবার, ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিরা অন্য জায়গায় পুনর্বাসিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবে। তিনি এই মন্তব্যটি সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করেন।
সৌদি যুবরাজের অবস্থান
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থান ‘সুস্পষ্টভাবে’ জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে বাস্তুচ্যুত করার কোনো চেষ্টা মেনে নেবে না।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদির সমর্থন
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা করার কোনো সুযোগ নেই। সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে এবং তারা এই বিষয়ে তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না।
নেতানিয়াহুর মন্তব্য
ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে ইসরায়েল সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং সফল হবে। তবে সৌদি আরবের এই অবস্থান ইসরায়েলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং দেশটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কয়েক মাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই তৎপরতা চলছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর আরব দেশগুলোর ক্ষোভের মুখে বিষয়টি স্থগিত করে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের এই অবস্থান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলনের জন্য একটি শক্তিশালী সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।