বিশ্ব

কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ট্রাম্প

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। এ কথা জানিয়েছেন তিনি এশিয়া সফরে যাওয়ার আগে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি (AFP) এ সংবাদটি পাওয়া গেছে।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বক্তব্য

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর), এশিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন,

“আমি চাই, তিনিও জানুক আমরা সেখানে যাচ্ছি।”

যখন তাকে কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য সাক্ষাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প বলেন,

“আমি জানি না, তবে আমরা তাকে জানিয়েছি, তিনি জানেন আমি যাচ্ছি।”

ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন,

“তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো।”

অতীত সাক্ষাৎ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে (২০১৭-২০২১) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সালে কিম জং উনের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।

সেসময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতার আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। যদিও সমঝোতা স্থায়ী হয়নি, তবে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ ও যোগাযোগের জন্য একটি সেতু তৈরি হয়েছিল।

এশিয়া সফরের প্রেক্ষাপট

ট্রাম্প এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করবেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। তার সফরের সময় কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক মার্কিন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের আগ্রহ ও উন্মুক্ত মনোভাব কিমের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে পারে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ওয়াশিংটন ও এশিয়ার বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্র ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর মনোযোগী হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেটা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

বিশ্লেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের সরাসরি উদ্যোগ কিম জং উনের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে পারে, যা পারমাণবিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি, এবং কোরিয়ার উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে।

কিম জং উনের দৃষ্টিভঙ্গি

যদিও কিম জং উনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন যে কিম ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন।

ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের কূটনৈতিক আগ্রহ তার আন্তর্জাতিক ইমেজকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে এই ধরনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এশিয়া সফর ও কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার খবর মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়া, কোরিয়ার উপদ্বীপে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

সংবাদ সংক্ষেপ

  • ট্রাম্প কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।
  • হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
  • দুই নেতা ২০১৯ সালে শেষবার সাক্ষাৎ করেছিলেন।
  • এশিয়া সফরের সময় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক মহলে বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্লেষণ ও সমাপ্তি

বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতার সরাসরি যোগাযোগ সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের উদ্যোগ কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠককে কূটনৈতিক ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তুলতে পারে।

এশিয়া সফরের পর ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে যোগাযোগ কেমন হবে, তা আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষভাবে নজর রাখার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

MAH – 13469 I Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button