বিশ্ব

দক্ষিণ লেবাননে ‘হিজবুল্লাহকে’ লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলা

Advertisement

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সোমবার নাবাতিহ এলাকায় এই হামলা চালানোর কথা জানানো হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহ কর্মী এবং অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই বলেন, “হিজবুল্লাহ লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যে কোনও হুমকি অপসারণ এবং ইসরাইল রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, ইসরাইল প্রায় নিয়মিত লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা হুমকি মোকাবিলা নিশ্চিত করতে চায়।

লেবানন দীর্ঘ সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক এবং সামরিক উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ লেবানন ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনার প্রধান ক্ষেত্র। ২০০৬ সালের লেবানন-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে এই অঞ্চল সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

হিজবুল্লাহ রাজনৈতিক দল হিসেবে লেবাননে শক্ত অবস্থান রাখলেও তাদের সশস্ত্র শাখা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য হয়। সাম্প্রতিক হামলাগুলো মূলত হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামো এবং সমর্থকদের ওপর কেন্দ্রীভূত।

হামলার প্রভাব ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই হামলা লেবাননের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘের কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামরিক সংঘর্ষ এলাকায় বসবাসরত সাধারণ জনগণের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলি হামলাকে কিছু নীতি বিশেষজ্ঞ হুমকি মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেখলেও, কিছু কূটনীতিক এটিকে উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন।

সামরিক প্রযুক্তি ও কৌশল

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরাইলের এই কৌশল পূর্বেই পরিকল্পিত এবং অত্যন্ত লক্ষ্যভিত্তিক। হামলার মাধ্যমে তারা হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস এবং সামরিক সক্ষমতা সীমিত করতে চায়।

লেবাননের বিভিন্ন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করছেন, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা নীতি এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর প্রভাব দেখানোর একটি কৌশল।

বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ মতামত

সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরাইলি হামলা হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রমে বাধা দিতে পারে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে উত্তেজনা কমাবে কিনা তা uncertain। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন করতে হলে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক সংলাপ অপরিহার্য।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দক্ষিণ লেবাননে অব্যাহত হামলা ও উত্তেজনা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা প্রভাবিত করতে পারে। তাদের মতে, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সমাধান এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সমন্বিতভাবে প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সামনের মাসগুলোতে দক্ষিণ লেবাননে পরিস্থিতি নজরদারি এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এম আর এম – ১৮৬০,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button