বিশ্ব

এক মঞ্চে দেখা যাবে পশ্চিমাবিরোধী তিন নেতা পুতিন-কিম-জিনপিং’কে

Advertisement

আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের ‘ভিক্টরি ডে’ প্যারেড। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এটি হবে কিমের প্রথম আন্তর্জাতিক সমাবেশ, যেখানে তিনি বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, ২৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।

চীনের ‘ভিক্টরি ডে’ প্যারেড: একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত

২০২৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে চীনের ‘ভিক্টরি ডে’ প্যারেড, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে। এই প্যারেডে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এটি হবে কিমের প্রথম আন্তর্জাতিক সমাবেশ, যেখানে তিনি বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্যারেডকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো, এই সমাবেশকে তাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের চেষ্টা হিসেবে দেখছে। এদিকে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্যারেডের মাধ্যমে চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়।

সামরিক প্রদর্শনী: চীনের শক্তির প্রদর্শন

প্যারেডে চীন তাদের সামরিক বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যের কুচকাওয়াজের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করবে। নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, মিসাইল সিস্টেমসহ কাটিং-এজ প্রযুক্তির নানা সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রদর্শনী চীনের সামরিক শক্তির একটি শক্তিশালী বার্তা বিশ্বকে দেবে।

অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ

এই প্যারেডে মোট ২৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করবেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

  • রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
  • উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজাশকিয়ান
  • ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো
  • সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুসিচ
  • তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন
  • উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকত মিরজিয়োয়েভ
  • ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট লুং কুয়াং
  • জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমমারসন ম্নাঙ্গাগওয়া
  • দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদের স্পিকার উ উন-শিক

এছাড়া, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব লি জুনহুয়া ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

কিম জং উনের অংশগ্রহণ: একটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ

কিম জং উন এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার উপস্থিতি জানান দিতে চান। এটি তার নেতৃত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিমের এই অংশগ্রহণ চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অনুপস্থিতি: একটি কূটনৈতিক সংকেত

দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জায়ে মিয়ং এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন না। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়া এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়।

সামরিক বিশ্লেষণ: চীনের শক্তির বৃদ্ধি

বিশ্বের সামরিক বিশ্লেষকরা এই প্যারেডকে চীনের সামরিক শক্তির একটি বড় প্রদর্শনী হিসেবে দেখছেন। চীন তাদের নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বের কাছে তাদের সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরতে চায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রদর্শনী চীনের সামরিক শক্তির একটি শক্তিশালী বার্তা বিশ্বকে দেবে।

ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক: চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া

এই প্যারেডের মাধ্যমে চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সম্পর্কের গভীরতা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

MAH – 12538 ,  Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button