দেশের ৭২% পরিবারের কাছে স্মার্টফোনের আধিপত্য, ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন দিগন্ত

দেশের ডিজিটাল অভিযাত্রা ও স্মার্টফোনের প্রসার
সাম্প্রতিক এক বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) জরিপে জানা গেছে, দেশের ৭২.৩ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি স্মার্টফোন রয়েছে। এই তথ্য বাংলাদেশের ডিজিটাল অভিযাত্রার এক নতুন অধ্যায়কে চিহ্নিত করে, যেখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবস্থাপনায় স্মার্টফোনের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) স্মার্টফোন ব্যবহারকারী পরিবারের হার ছিল ৭০ শতাংশ। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই গত অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ শতাংশে। বিবিএসের এই জরিপে ২,৫৬৮টি এলাকার ৬১,৬৩২টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার – এক বিস্তৃত চিত্র
বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৮.৭ শতাংশ পরিবারের কাছে কমপক্ষে একটি মুঠোফোন আছে, যা গত বছরের ৯৭.৯ শতাংশের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পায়। তবে স্মার্টফোনের ব্যবহার ব্যক্তিগত পর্যায়ে তুলনায় পরিবারের মধ্যে বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। অনেক পরিবারের একই মুঠোফোন বিভিন্ন সদস্য দ্বারা ব্যবহার করা হয়, ফলে ব্যক্তিগত মালিকানার হার কিছুটা কম।
এদিকে, ইন্টারনেট ব্যবহারের হার সমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ৫২.৪ শতাংশ পরিবার সরাসরি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। শহর ও গ্রাম উভয়ের মধ্যে পার্থক্য লক্ষণীয়; শহরের ৬১.৬ শতাংশ পরিবার এবং গ্রামের ৪৮.২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এছাড়া, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার প্রায় ৪৭.২ শতাংশ।
এর প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, গত ২০২২ সালে পরিবারভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ছিল মাত্র ৩৮ শতাংশ, যা দুই বছরের মধ্যে প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহারের হারও প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে গেছে। তথাপি, এখনও দেশের অর্ধেকের বেশি পরিবার সরাসরি ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে, যা আরও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
স্মার্টফোনের প্রসারে অবদান রাখা সস্তা ও সহজলভ্য প্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকমিউনিকেশন খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে বা তারও কম খরচে সাধারণ মানের স্মার্টফোন সহজলভ্য। এই স্মার্টফোন দিয়ে ভিডিও কল, সামাজিক মাধ্যম, অনলাইন পড়াশোনা ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করা যায়। ফলে, প্রায় সব পরিবারের এককথায় অন্তত একটি স্মার্টফোন রাখার ধারণাই পোষিত হয়েছে।
বর্তমানে গ্রামের পাশাপাশি শহরে স্মার্টফোনের ব্যবহার দ্রুতই বেড়ে চলেছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন বিশ্বব্যাংকের ‘ডিজিটাল অগ্রগতি ও প্রবণতা প্রতিবেদন ২০২৩’-এ মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে শুধুমাত্র ৫২ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এছাড়া, গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) প্রকাশিত জরিপে জানা যায়, শহরে ৪১ শতাংশ এবং গ্রামে ২৬ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনের ব্যবহার করে।
এই বিভিন্ন প্রতিবেদন আমাদের দেখাচ্ছে, যে দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়টি অনেক দিক থেকে বিচার করা প্রয়োজন। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাঝে পার্থক্য থাকলেও, সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার – স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু উন্নত মানের ও ব্যক্তিগত মালিকানার ব্যাপারে আরও কাজের সুযোগ রয়েছে।
ই–সরকারি সেবা ও ডিজিটাল প্রক্রিয়ার প্রভাব
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রসার সিম্বল হিসেবে বিবিএসের তথ্য বিশ্বকে জানাচ্ছে, যে ই–টিকিট, অনলাইনে জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট নিবন্ধন, মোবাইল ব্যাংকিংসহ নানা সরকারি ও বেসরকারি সেবার ডিজিটালরণে মানুষের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, “পরিবারভিত্তিক স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক দিক। এতে শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সরকারি সেবার সাথে মানুষের সংযোগ সহজতর হচ্ছে।”
বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল দিশানির্দেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও স্মার্টফোনের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার এবং বেসরকারি খাতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিজনেস হাবগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে কাজ করছে, যা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোর উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগ্রহ ও বিনিয়োগ
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও নতুন উদ্যোগের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দেশে এমন অনেক স্টার্টআপ উদ্ভাবন হচ্ছে, যা সরাসরি স্মার্টফোন ও ডিজিটাল সেবার সাথে যুক্ত। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং, ই–কমার্স, এবং অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। এছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও তরুণ গবেষকদের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা ও সস্তা মানের কারণে, গ্রামীণ ও দূরবিন্যস্ত এলাকায় প্রযুক্তির বিস্তার এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে, গ্রামীন এলাকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, স্থানীয় জনগণ আজ অনেকাংশেই ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করতে সক্ষম হচ্ছে।
ডিজিটাল বিভাজন ও ভবিষ্যতের দিক
যদিও দেশব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ছে, তথাপি এখনও অর্ধেকেরও বেশি পরিবার সরাসরি ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের কিছু এলাকায় এসব ডিজিটাল বিভাজনের সমস্যা স্পষ্ট। একাধিক কারণের মধ্যে রয়েছে খরচ, ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব, এবং পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সংযোগের অভাব।
পরবর্তী পর্যায়ে সরকারের পরিকল্পনা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে এই ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ইন্টারনেট অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার, এবং কম খরচের স্মার্টফোন সরবরাহের জন্য নতুন নীতিমালা গ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে, যথাযথ বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, এবং সংযুক্তি উন্নয়ন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্রযুক্তির চাহিদা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির চাহিদা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নানা ধরণের অনন্য উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন কাজ ও বিনোদনের ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ক্লাস, এবং ই–কমার্সের মাধ্যমে জীবন অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন উন্নত প্রযুক্তির প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশও নিজস্ব উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন ধারাপ্রবাহ সৃষ্টি করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ নানা প্রযুক্তিগত সেবায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের তরুণ প্রজন্মকে আরও দক্ষ ও আত্মনির্ভর করে তুলছে।
স্মার্টফোন ব্যবহার বৃদ্ধির এই ধারায়, দেশের বিশেষ করে জেলা ও শহরাঞ্চলে একাধারে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে সহজলভ্য তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়াস তেজী হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের দ্রুত প্রসারে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার বিষয়েও জোরালো কাজ করা প্রয়োজন। অনেক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে।
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যাতে সাইবার অপরাধ ও তথ্য চুরির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যায়। তবে, ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির ব্যবহার অনুসারে এই আইন ও নীতিমালাগুলোর আরও কঠোর ও উন্নত সংস্করণ আনতে হবে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। এতে করে শুধুমাত্র দেশের জনগণই নিরাপদ থাকবে না, বরং দেশের সামগ্রিক ডিজিটাল বিকাশও সফল হবে।
ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর এবং স্মার্টফোনের প্রসার দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে নিম্নলিখিত কিছু বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত:
- ইন্টারনেট অবকাঠামোর উন্নয়ন: গ্রামীণ ও দূরবর্তী অঞ্চলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া।
- ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধির কর্মসূচি: সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিক্ষার নীচু শ্রেণির মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা।
- স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসের সহজলভ্যতা: সস্তা ও মানসম্মত স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা বাড়িয়ে প্রযুক্তিগত দিশার প্রসার ঘটানো।
- সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা: ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালার ক্রমবর্ধমান সংস্কার ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
- সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা: ডিজিটাল সেবার বিস্তার ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের আরও সমন্বয় সাধন করা।
প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ও নতুন উদ্ভাবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে, দেশের আইসিটি জরিপ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহের প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। এসব তথ্য কেবল বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে না, বরং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে উন্নতি হচ্ছে, তা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের দ্রুত প্রসারে জনগণের জীবনের মান উন্নত হচ্ছে এবং দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হচ্ছে। বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ তথ্য তুলে ধরেছে, যে দেশের ৭২.৩ শতাংশ পরিবারে এখন অন্তত একটি স্মার্টফোন রয়েছে এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
তবে, ডিজিটাল বিভাজনের সমস্যা, নিরাপত্তা ও সচেতনতার অভাব এমন কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে, যেগুলো সমাধানের জন্য সঠিক নীতিমালা ও নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, এবং সরকারের যৌথ প্রয়াসে এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে, এবং দেশের ডিজিটাল দিশার উন্নতি আরও ত্বরণ পাবে।
বাংলাদেশে স্মার্টফোনের প্রসার ও ডিজিটাল সেবার বিস্তারের এই ধারাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করা হলে দেশের অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক, ও সামাজিক উন্নয়ন এতটাই ত্বরণ পাবে যে, আগামী প্রজন্ম নতুন এক স্বপ্ন এবং সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
Singnalbd.com এই নিবন্ধে তুলে ধরতে চায়, যে প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ গতিশীল বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক দেশের রূপ দেওয়ার পথে শক্তিশালী প্রমাণিত হবে। দেশের প্রতিটি কোণে প্রযুক্তির আলো পৌঁছে দেওয়া, ডিজিটাল বিভাজন দূর করা ও জনগণের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের একত্রিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।
এভাবেই দেশের ডিজিটাল অভিযাত্রা নতুন উচ্চতায় উঠবে, যেখানে প্রযুক্তি মানব জীবনের প্রতিটি অঙ্গে সেবা প্রদান করবে এবং দেশের প্রতিটি পরিবার সেই সেবার অভিজ্ঞতা গ্রহণ করবে।