নিজস্ব এআই প্রশিক্ষণ চিপের পরীক্ষা শুরু করছে মেটা

মেটা তাদের নিজস্ব কাস্টম চিপ ডিজাইনের মাধ্যমে এনভিডিয়ার মতো বাইরের চিপের ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আপাতত ছোট পরিসরে চিপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষা সফল হলে, মেটা বড় আকারে চিপ উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
মেটা তাদের বিশাল অবকাঠামোগত ব্যয় কমানোর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজস্ব চিপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। কোম্পানিটি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে এআই টুলের ওপর বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। ২০২৫ সালে মেটার মোট ব্যয় ১১ হাজার ৪০০ কোটি থেকে ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূলধনী ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে, যা মূলত এআই অবকাঠামোতে ব্যবহৃত হবে।
সূত্রের তথ্যমতে, মেটার নতুন প্রশিক্ষণ চিপটি একটি ডেডিকেটেড অ্যাক্সিলারেটর। এর মানে হলো, চিপটি কেবল এআই-ভিত্তিক নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এআই কাজের জন্য ব্যবহৃত ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে। মেটা এই চিপ উৎপাদনে তাইওয়ানভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টিএসএমসির সাথে কাজ করছে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, চিপের প্রথম ‘টেপ আউট’ শেষ করার পর মেটা পরীক্ষামূলকভাবে এটি তৈরির কাজ শুরু করেছে। এটি চিপ উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের সাফল্যের একটি চিহ্ন। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি প্রাথমিক চিপের একটি ডিজাইন কারখানায় পাঠিয়েছে।
তবে, মেটা ও টিএসএমসি এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
মেটার নিজস্ব চিপ তৈরির কারণ:
- বাইরের চিপের ওপর নির্ভরতা কমানো: মেটা এনভিডিয়ার মতো বাইরের চিপের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমাতে চায়।
- অবকাঠামোগত ব্যয় কমানো: এআই প্রযুক্তির বিকাশের কারণে মেটার অবকাঠামোগত ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নিজস্ব চিপ তৈরি করে এই ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।
- এআই প্রযুক্তিতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি: নিজস্ব চিপ তৈরি মেটাকে এআই প্রযুক্তিতে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
মেটার এই উদ্যোগের গুরুত্ব:
- মেটার এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি বিশ্বে একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে।
- অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও নিজস্ব চিপ তৈরির দিকে ঝুঁকতে পারে।
- এআই প্রযুক্তির বিকাশে মেটার এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মেটার এই উদ্যোগ প্রযুক্তি বিশ্বে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।